ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একুশ আমাদের গৌরব : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩০৯ বার

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের গৌরব। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষ রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। বইমেলা গৌরবের ইতিহাসকেই প্রতিভাত করে। লেখক সাহিত্যিক ও পাঠকদের এক বিরল সুযোগ এনে দেয় এ মেলা।

মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা একাডেমি গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে উদযাপন করে আসছে এই বইমেলা। যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এবার গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক বাংলা একাডেমির ৬০ বছরপূর্তি-হীরকজয়ন্তী যুক্ত হয়ে মেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুনতর মাত্রা।

এর আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ১০ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ক্যাটাগরি ও পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কবিতায়- আলতাফ হোসেন, কথা সাহিত্যে- শাহীন আখতার, প্রবন্ধে- আবুল মোমেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অনুবাদে- আব্দুস সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যে- তাজুল মো., আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনীতে- ফারুক চৌধুরী, নাটকে- মাসুম রেজা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশে- শরীফ খান এবং শিশু সাহিত্যে- সুজন বড়ুয়া।

মোট পাঁচজন বিচারক চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কার মনোনয়ন করে থাকেন। হায়াৎ মামুদের সভাপতিত্বে বাকি বিচারকরা হলেন- সৈয়দ আবুল মকসুদ, রামেন্দু মজুমদার, করুণাময় গোস্বামী এবং ফখরুল আলম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

একুশ আমাদের গৌরব : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আমাদের গৌরব। মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে মানুষ রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। বইমেলা গৌরবের ইতিহাসকেই প্রতিভাত করে। লেখক সাহিত্যিক ও পাঠকদের এক বিরল সুযোগ এনে দেয় এ মেলা।

মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা একাডেমি গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে উদযাপন করে আসছে এই বইমেলা। যার প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এবার গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক বাংলা একাডেমির ৬০ বছরপূর্তি-হীরকজয়ন্তী যুক্ত হয়ে মেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুনতর মাত্রা।

এর আগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ অর্জনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ১০ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ক্যাটাগরি ও পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কবিতায়- আলতাফ হোসেন, কথা সাহিত্যে- শাহীন আখতার, প্রবন্ধে- আবুল মোমেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অনুবাদে- আব্দুস সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যে- তাজুল মো., আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনীতে- ফারুক চৌধুরী, নাটকে- মাসুম রেজা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশে- শরীফ খান এবং শিশু সাহিত্যে- সুজন বড়ুয়া।

মোট পাঁচজন বিচারক চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কার মনোনয়ন করে থাকেন। হায়াৎ মামুদের সভাপতিত্বে বাকি বিচারকরা হলেন- সৈয়দ আবুল মকসুদ, রামেন্দু মজুমদার, করুণাময় গোস্বামী এবং ফখরুল আলম।