ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিমের জেলা লালমনিরহাট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৫৮২ বার

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ আর সবুজ। সেই সবুজে ভালো করে তাকালে দেখা যায় লকলকে লতার সমারোহ। লতার ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট নীল-সাদা অজস্র ফুল ফুটে আছে বুক সমান উচ্চতার মাচানজুড়ে। আর তাতেই ধরেছে থোকায় থোকায় শিম। কৃষকের কাছ থেকে এই শিম কুমড়িরহাট ও দুরাকুটি হাটের পাইকারদের হাত হয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আড়তে। আর এভাবেই প্রতিদিন দেশের বৃহত্তম এ দুটি হাটে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০ ট্রাক শিম। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শিমের আবাদ হচ্ছে। এই এলাকায় শিম আবাদ শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। লালমনিরহাট জেলার কমলাবাড়ি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম উচ্চ ফলনশীল শিম বীজ এনে জমিতে আবাদ করেন। তিনি ওই বছর শিম বিক্রি করে লাভবান হন। ফলে প্রতিবেশী কৃষকরা তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। দুরাকুটি গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে শিম চাষে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। উত্পাদন হয় প্রায় ১১-১৩ মণ শিম। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।’ লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে চলতি মৌসুমে জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে ১২৫০০ মেট্রিক টন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯২০ হেক্টর জমিতে ৯৬০০ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে ৮০০ মে. টন, আদিতমারী উপজেলায় ১৮২০ হেক্টর জমিতে ১৬৬৩৪ মে. টন এবং সদরে ৩১০ হেক্টর জমিতে ৬২১ মে. টন শিম আবাদ ও উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাফায়াত হোসেন বলেন, এ এলাকার মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী। ফলে শিম চাষে সাফল্য এসেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শিমের জেলা লালমনিরহাট

আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬

বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ আর সবুজ। সেই সবুজে ভালো করে তাকালে দেখা যায় লকলকে লতার সমারোহ। লতার ফাঁকে ফাঁকে ছোট্ট নীল-সাদা অজস্র ফুল ফুটে আছে বুক সমান উচ্চতার মাচানজুড়ে। আর তাতেই ধরেছে থোকায় থোকায় শিম। কৃষকের কাছ থেকে এই শিম কুমড়িরহাট ও দুরাকুটি হাটের পাইকারদের হাত হয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আড়তে। আর এভাবেই প্রতিদিন দেশের বৃহত্তম এ দুটি হাটে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০ ট্রাক শিম। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শিমের আবাদ হচ্ছে। এই এলাকায় শিম আবাদ শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। লালমনিরহাট জেলার কমলাবাড়ি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম উচ্চ ফলনশীল শিম বীজ এনে জমিতে আবাদ করেন। তিনি ওই বছর শিম বিক্রি করে লাভবান হন। ফলে প্রতিবেশী কৃষকরা তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। দুরাকুটি গ্রামের কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে শিম চাষে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। উত্পাদন হয় প্রায় ১১-১৩ মণ শিম। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।’ লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে চলতি মৌসুমে জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে ১২৫০০ মেট্রিক টন, হাতীবান্ধা উপজেলায় ৯২০ হেক্টর জমিতে ৯৬০০ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জ উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে ৮০০ মে. টন, আদিতমারী উপজেলায় ১৮২০ হেক্টর জমিতে ১৬৬৩৪ মে. টন এবং সদরে ৩১০ হেক্টর জমিতে ৬২১ মে. টন শিম আবাদ ও উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাফায়াত হোসেন বলেন, এ এলাকার মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী। ফলে শিম চাষে সাফল্য এসেছে।