ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর ঘুমের সমস্যায় করণীয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিশুরাও ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের মাঝেও শতকরা ২৫ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের ঘুমের সমস্যায় ভোগে।

এই সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী হয়। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং তাদের সার্বিক সুস্থতায় তাৎপর্যপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব রাখে।

প্রথম অবস্থায় অনেক বাবা-মা বুঝতে পারেন না যে শিশুর ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। যখন শিশুরা আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারে না, স্কুলের সময় ঘুমায়, মাথাব্যথা হয়, মনোযোগে সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, স্কুল থেকে অভিযোগ আসে কিংবা শিশু কথায় কথায় রাগ দেখাতে শুরু করে; তখন বাবা-মা বুঝতে পারে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। এ সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বয়স অনুযায়ী শিশুর প্রয়োজনীয় ঘুমের সময়-তালিকা

১-৪ সপ্তাহ : ১৬-১৭ ঘণ্টা

১-৪ মাস : ১৬-১৭ ঘণ্টা। রাতের ঘুমে পরিমাণ বাড়তে থাকে

৪ মাস-১ বছর : ১৪-১৫ ঘণ্টা

১-৩ বছর : ১২-১৪ ঘণ্টা। রাতেই বেশি ঘুমায়, দিনে একবার ন্যাপ নেয় অথবা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায়

৩-৬ বছর : ১১-১২ ঘণ্টা

৭-১২ বছর : ১০-১২ ঘণ্টা

১৩-১৮ বছর : ৬-৮ ঘণ্টা

শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করতে পরামর্শ

১. শিশুর ভালো ঘুমের জন্য পরিচিত, পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক বিছানা দিতে হবে। শোবার ঘরটা কিছুটা অন্ধকার, শান্ত, নীরব ও কোলাহলমুক্ত রাখতে হবে।

২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জাগতে হবে এবং বিছানা ছাড়তে হবে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে।

৪. কোনো শারীরিক বা মানসিক রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিশুর ঘুমের সমস্যায় করণীয়

আপডেট টাইম : ১১:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিশুরাও ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের মাঝেও শতকরা ২৫ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের ঘুমের সমস্যায় ভোগে।

এই সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী হয়। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং তাদের সার্বিক সুস্থতায় তাৎপর্যপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব রাখে।

প্রথম অবস্থায় অনেক বাবা-মা বুঝতে পারেন না যে শিশুর ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। যখন শিশুরা আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারে না, স্কুলের সময় ঘুমায়, মাথাব্যথা হয়, মনোযোগে সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, স্কুল থেকে অভিযোগ আসে কিংবা শিশু কথায় কথায় রাগ দেখাতে শুরু করে; তখন বাবা-মা বুঝতে পারে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। এ সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বয়স অনুযায়ী শিশুর প্রয়োজনীয় ঘুমের সময়-তালিকা

১-৪ সপ্তাহ : ১৬-১৭ ঘণ্টা

১-৪ মাস : ১৬-১৭ ঘণ্টা। রাতের ঘুমে পরিমাণ বাড়তে থাকে

৪ মাস-১ বছর : ১৪-১৫ ঘণ্টা

১-৩ বছর : ১২-১৪ ঘণ্টা। রাতেই বেশি ঘুমায়, দিনে একবার ন্যাপ নেয় অথবা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায়

৩-৬ বছর : ১১-১২ ঘণ্টা

৭-১২ বছর : ১০-১২ ঘণ্টা

১৩-১৮ বছর : ৬-৮ ঘণ্টা

শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করতে পরামর্শ

১. শিশুর ভালো ঘুমের জন্য পরিচিত, পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক বিছানা দিতে হবে। শোবার ঘরটা কিছুটা অন্ধকার, শান্ত, নীরব ও কোলাহলমুক্ত রাখতে হবে।

২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জাগতে হবে এবং বিছানা ছাড়তে হবে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে।

৪. কোনো শারীরিক বা মানসিক রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।