প্রস্তাবিত সম্মানী ভাতা আমলাদের চেয়ে কম হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যরা। তাদের যুক্তি, আমলারা বেতন নেন আর তারা নেন সম্মানী ভাতা।
মর্যাদার প্রশ্নই যখন উঠছে তখন তাদের সম্মানী ভাতা ১ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় উঠে এসেছে বলে জানান কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
সংসদের মিডিয়া কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস বিফ্রিংয়ে সুরঞ্জিত বলেন, বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত মইন উদ্দিন খান বাদল ও ইমরান আহমেদ এমপিদের ভাতা বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তাদের অজুহাত হচ্ছে, এমপিরা বেতন নেন না, তারা সম্মানী ভাতা নেন। সম্মানী ভাতা তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীও নেন। আমলারা ৮২ হাজারেই থামেনি, সিনিয়র সচিবদের বেতন ৮৬ টাকা করেছে।
প্রশ্ন এসেছে, আমরা যদি সম্মানী ভাতাই নিই তাহলে ১ টাকা করে দেন। কিন্তু আমাদের মর্যাদাটাতো রাখতে হবে। আমলাদের নিচে আমরা তো থাকতে পারি না!
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, এমপিদের মেডিকেল বিল, যাতায়াত ভাতা, সংসদ অধিবেশন এলাউন্স, কমিটি মিটিং এ অংশ নিলে যে অ্যালাউন্স পায় সেটাও বাড়ানো হয়নি। এজন্য আমরা বলে দিয়েছি, এগুলো তোমরা ঠিক করে আন। এজন্য একটি সিরিয়াস বৈঠক করতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে বৈঠকে ডাকা হবে।
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকার বিষয়গুলো দেখার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি আবার মিটিং করা হবে।
চলতি সংসদ অধিবেশনে গত রোববার ও সোমবার এমপিদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি-সংক্রান্ত পাঁচটি বিল উত্থাপিত হয়। এগুলো অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
এমপিদের প্রস্তাবিত সম্মানী ভাতা একজন সচিবের চেয়ে কম। সচিবরা পান ৮২ হাজার টাকা আর প্রস্তাবিত আইনে এমপিদের জন্য ৫৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।