ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয়ের মাসেই পদ্মা জয়ের স্বপ্নপূরণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিজয়ের মাসের প্রথম শুক্রবার পদ্মাসেতুর ৪০তম স্প্যান বসানো হবে। সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হবে। এতে সেতুর দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ স্প্যানটি বসাতে কারিগরি কিছু কাজ আগে সেরে রাখার উদ্দেশ্যে একদিন আগেই বৃহস্পতিবার এটিকে পিলারের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়। শুক্রবার পিলারের উপর তোলার আগ পর্যন্ত মাঝনদীতে স্প্যানবাহী ক্রেনটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনীর টহল বোট।

পদ্মা সেতুর ইতিহাসে অক্টোবর ও নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রতিমাসে ৪টি করে বসেছে ৮টি স্প্যান। ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়। মাওয়া প্রান্তে যেখানে মাত্র দুইটি স্প্যান ছিলো, সেখানে এখন পুরো ১০টি স্প্যানে দৃশ্যমান দেড় কিলোমিটার সেতু। পাড়ের সঙ্গে সেতুর মিলন ঘটেছে, এখন দুই প্রান্তও মিলবে এ দুটি স্প্যান বসানো হলে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিজয়ের মাসেই পদ্মা জয়ের স্বপ্নপূরণ

আপডেট টাইম : ০২:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিজয়ের মাসের প্রথম শুক্রবার পদ্মাসেতুর ৪০তম স্প্যান বসানো হবে। সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হবে। এতে সেতুর দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, এ স্প্যানটি বসাতে কারিগরি কিছু কাজ আগে সেরে রাখার উদ্দেশ্যে একদিন আগেই বৃহস্পতিবার এটিকে পিলারের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়। শুক্রবার পিলারের উপর তোলার আগ পর্যন্ত মাঝনদীতে স্প্যানবাহী ক্রেনটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনীর টহল বোট।

পদ্মা সেতুর ইতিহাসে অক্টোবর ও নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রতিমাসে ৪টি করে বসেছে ৮টি স্প্যান। ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয়। মাওয়া প্রান্তে যেখানে মাত্র দুইটি স্প্যান ছিলো, সেখানে এখন পুরো ১০টি স্প্যানে দৃশ্যমান দেড় কিলোমিটার সেতু। পাড়ের সঙ্গে সেতুর মিলন ঘটেছে, এখন দুই প্রান্তও মিলবে এ দুটি স্প্যান বসানো হলে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।