ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন পরিচালনার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সুত্র জানায়, প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৩০ কোটি টাকা নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হবে । বাঁকি টাকা ব্যয় হবে আইন-শৃঙ্খলাসহ অনান্ন খাতে। তবে এর আগে ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের ব্যয় ছিল ৩৪০ কোটি টাকা।
]ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি নির্বাচনী উপকরণ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। আগ্রহীরা দরপত্রে অংশগ্রহণও করেছেন।
জানা গেছে, নির্বাচন উপযোগী দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশী ইউপিতে নির্বাচন মার্চের শেষ ভাগেই শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেজন্য এখন থেকেই কেনাকাটার শুরু করেছে ইসি।
ইসির বাজেট শাখার উপ-সচিব শাহজাহান খান বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক প্রার্থী জয়ী হওয়ায় অর্ধেকের বেশি আসনে আমাদের নির্বাচন করতে হয়নি। তাই তখনকার সময়ের অনেক উপকরণ অব্যবহৃত রয়েছে। যা ইউপিতে কাজে লাগানো হবে।
এছাড়া বর্তমানে প্রায় ১০ ধরনের উপকরণ কেনা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-সিল, ব্রাশ সিল, প্যাড, গালা, ছোট ব্যাগ, বড় ব্যাগ, ব্যালট বাক্সের লক, রশি ইত্যাদি। এগুলোর জন্যই টেন্ডার দেওয়া হয়েছিলো।
অন্যদিকে, প্রথম দফায় ৭৭৪ ইউপিতে নির্বচনের জন্য তালিকা প্রস্তুত করেছে ইসি। যে সকল ইউপির মেয়াদ ১লা মে শেষ হবে ঐ সব ইউপিতে প্রথম দফায় নির্বাচন দিতে যাচ্ছে ইসি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১১ সালের ২৯ মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত কয়েকধাপে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিলো। আর ২৯ মার্চ ২১ উপকূলীয় উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সে সময় প্রথম দফায় ৫ শতাধিক ইউপিতে ভোটগ্রহণ করেছিলো ইসি। এবারও সেসব উপজেলাতেই আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।