বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের শালদিঘা ও হারাকান্দি মৌজার গৌরাঙ্গ মরাগাঙ্গের বিল এর পানি কমানোর জন্য হাওররক্ষা বেড়িবাধ কেটে কৃষকের বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে বিলের ইজারাদার ও সহযোগীরা। বেড়িবাঁধ কাঁটার সাথে সাথেই পানির চাপে বাঁধ ভেঙ্গে তীব্র গতিতে কৃষকের বীজতলায় প্রবেশ করছে পানি। বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষক।
নিমিষের মধ্যেই কৃষকের বীজ ধানের ক্ষেতের মধ্যে পানি থৈ থৈ করছে। অথচ কত আশা নিয়ে স্বপ্ন বুনছিল হাওর পাড়ের কৃষকেরা। সোমবার রাতে হাওর রক্ষার বাঁধ কাটার খবর পেয়ে ছুঠে যান হাওর পাড়ের কৃষকগন। বাঁধ রক্ষার জন্য সবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে ঝুকিঁমুক্ত করার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। বিলের ইজারাদারেরা তাদের কে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার কারণে, কৃষকেরা ভয়ে চলে আসেন বাড়িতে, । মধ্যরাতেই প্রচুর পরিমান পানির চাপে বাঁধ ভাঙ্গায় নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার বীজ ধান। হাওর এলাকার জনগণের একমাত্র সম্বল কৃষি জমির উপরে, বীজ ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তাদের একমাত্র জীবন বাঁচার সম্পদ, কষ্টে ফলানো সোনার ফসলের বীজ পানিতে ডুবে যাওয়া দৃশ্য দেখে তাদের চোখের পানি একারকার হচ্ছে বেরী বাঁধ ।
স্থানীয় কৃষক ইসমাইল মিয়া জানান, বেড়িবাঁধ কাঁটার খবর যখন পেয়েছি তখনেই বাঁধ রক্ষার জন্য গিয়েছি কিন্তু প্রভাবশালীর ক্ষমতার দাপটের ভয়ে আতংকে আছি।, এই বাঁধ কেটে দেওয়ায় আমার ৩৬ হাজার ৭শত টাকার বীজ ধান নষ্ট হয়েছে, এভাবে এখানে যারা বীজ ধান ফলন করছিল সবারই ক্ষতি হয়েছে।
চাকুয়া ইউনিয়নের কিছু লোকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার মধ্যে চাকুয়া ইউনিয়নের অসহায় জনগণের মতো নির্যাতিত জনগণ বাংলাদেশে কমই আছে।আমরা জিম্মি প্রভাবশালীর কাছে, । এ দুর্নীতির শেষ কোথায়, যেমন, নৌ পথে চাঁদাবাজি, সরকারি জায়গা দখল, , লেপসিয়া বাজারে চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরা, বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর, ধর্ষণ, চায়ের দোকান, এসব কর্মকান্ড কার দাপটে করছে ।
এই হাওরের কৃষক, রহমান, মজিদ খা, জয়ন্ত বাবু সহ আরো অনেকেই বলেন, হাওর রক্ষা বেড়িবাঁধ শুধু হাওর রক্ষার জন্য নয়, এই বাধটি চাকুয়া ইউনিয়নের পাঁচ-ছয়টা গ্রামের প্রধান সড়ক ।আমরা প্রশাসন সহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে বিচার চাই আমাদের এই স্বপনের ফসল নষ্ট করার জন্য।
বিলের ইজারাদার মালিক মহসিন মিয়া,, সালাম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এই বিল আমরা লিজ নিয়েছি,। প্রায় ৯ বছর ধরে এই বিল পিসিং করে আসছি, এই বিলের পানি এভাবেই ছাড়া হয়।
এবিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এলিন সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনের আওতাধীন আনা হবে।