দীর্ঘ ১৭ বছর পর কোনো আসরের ফাইনালে উঠে বাজিমাত করেছে নেপাল। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে বাহরাইনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ এশিয়ার দলটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জালে গোল তিনটি করেন বিমল ঘারতি মাগার, বিশাল রায় ও নবযুগ শ্রেষ্ঠা।
সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) ফাইনাল খেলেছিল নেপাল; সেবার নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন গুঁড়িয়েছিল তাদের। নেপালের সর্বশেষ শিরোপা জয়ের স্মৃতি ২৩ বছর আগের। ১৯৯৩ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ফুটবল ইভেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিল তারা।
পঞ্চম মিনিটে বিমলের গোলে এগিয়ে যায় নেপাল। অধিনায়ক বিরাজ মহারাজনের ক্রসে অঞ্জন চৌধুরীর হেড পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক মাহবুব আলদোসেরি; বক্সের মধ্যে থেকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন বিমল।
প্রায় ১৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে প্রাণ ফিরেছিল। বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেপালের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবিরাও এসেছিলেন দলকে সমর্থন করতে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ হারান সেমি-ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা নবযুগ শ্রেষ্ঠা। এই ফরোয়ার্ডের শট গ্লান্স করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান বাহরাইন গোলরক্ষক।
একটু পরই বাহরাইনের সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট করে দেন নেপাল গোলরক্ষক বিকেশ কুথু। অধিনায়ক আব্দুল আজিজ আল শেখের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান তিনি। ৬২ তম মিনিটে নবযুগের বাড়ানো বল পোস্টের বাইরে দিয়ে মেরে ব্যবধান বাড়ানোর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন নেপালের হেমান গুরুং।
৮০তম মিনিটে নেপালের বিক্রম লামার সঙ্গে আহমেদ আলথুয়ানির বল দখলের লড়াই কুস্তিতে রূপ নেয়। ওই ঘটনায় বাহরাইনের আহমেদ ও নেপালের সুমন লামাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
৮৭তম মিনিটে নেপালের প্রথমবারের মতো গোল্ড কাপ জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন বিশাল রায়। বক্সের মধ্যে থেকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ক্রস দেন অঞ্জন। বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি বিশালের।
শেষ দিকে বিমলের লম্বা করে বাড়ানো বল হেডে ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে নেপালের শিরোপা নিশ্চিত করে দেন নবযুগ। আর যোগ করা সময়ে বাহরাইনের অধিনায়ক আব্দুল আজিজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন।