এপ্রিলে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা তাকে না চাইলে চেয়ারমান পদ থেকে সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
দলের দখল নিতে বিগত কয়েকদিন চলা ‘নাটকের’ মধ্যেই বুধবার বনানীর নিজ কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিলেন এরশাদ।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের দায়িত্ব অর্পণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরশাদ বলেন, ‘নেতাকর্মীরা যাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চাইবেন, তিনিই হবেন, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলুকে আমি আমার ছেলের মতো জানতাম। কিন্তু সে সেলফিসের মতো আচরণ করেছে।’
সাবেক এই স্বৈরশাসক বলেন, ‘আমি যখন রংপুরে ছিলাম, আমার স্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে বাবলু। এ কারণেই তাকে মহাসচিব পদ থেকে বাদ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী রওশন এরশাদকে দলের কো-চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তার বয়স এখন ৭৬ বছর। তিন বছর পর আগামী নির্বাচনের সময় তার বয়স হবে ৭৯ বছর। সে সময় তিনি চলতে পারবেন কিনা আমি জানি না। আমি নিজেও চলতে পারব কিনা জানি না।’
এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচনের কাজে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে হয়। এসব চিন্তা করেই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করেছি।’
জিএম কাদেরকে সৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী (কমার্স মিনিস্টার) হওয়া সত্ত্বেও উনার (জিএম কাদের) সংসার চালাতে প্রতি মাসে আমাকে খরচ দিতে হয়।’
অনুষ্ঠানে জিএম কাদের, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ছাড়াও এরশাদপন্থি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।