হাওর বার্তা ডেস্কঃ যশোর জেলার সদর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন সবজির চারাগাছ। এখানের উৎপাদিত সবজির চারাগাছ দেশের ৩৫ জেলার কৃষকেরা ক্রয় করছেন।
গত মৌসুমে প্রতি হাজারে যেসব চারাগাছ নয় শত টাকা থেকে একহাজাওে বিক্রি হচ্ছে সেখানে এবার প্রতি হাজারে পনেরো শত থেকে দু হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এক মৌসুমে একটি বীজতলায় (সেডে) পাঁচবার চারাগাছ উৎপাদন করা যায়। এক বিঘা জমিতে বিভিন্ন চারাগাছ ভেদে পুরো মৌসুমে পাঁচবারে ১৫ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ চারাগাছ উৎপাদিত হয়। এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২০ বছর ধরে বর্গাচাষ করছি, সবজির চারা উৎপাদনে আমার ৫ জনের সংসার বেশ ভালোই যাচ্ছে। আমাদের কৃষি দপ্তর থেকে সহযোগীতাও সঠিকভাবে পাচ্ছি। ফলে সঠিকভাবে পরিচর্যা করার কারণে অধিকআংশ সময়ে আমাদের লাভ হচ্ছে।
যশোরের ঝিকরগাছা থেকে চারাগাছ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করবেন। এজন্য আব্দুলপুরের চারাগাছের মান ভাল হওয়াতে কিনতে এসেছেন।
কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেক কৃষকের চারাগাছ নষ্ট হয়েছে এজন্য একই কৃষক দ্বিতীয়বার কেনাতে চাহিদা বেড়েছে, তবে মানবিক কারণে তাদের থেকে দ্বিতীয়বার দাম একটু কমও রেখেছি।