ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন কাটা শুরু, কৃষকের ঘরে সুখের বার্তা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু পাকা আমন ধান। সোনালী ধানের শীষ দুলছে মৃদু বাতাসে। পোকামাকড়, রোগ-বালাই আক্রমণ ছাড়া বেড়ে ওঠা পাকা ধান সুখের বার্তা দিচ্ছে কৃষককে।

ইতিধ্যে মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয় না হলে চলতি মাসেই সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা- এমনটাই আশা কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জামালপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চাষ হয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জেলা সদরে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার চর পুরান গ্রামের কৃষক ঠাণ্ডা মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার চর পুরান গ্রামের কৃষক ঠাণ্ডা মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি।

জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, রোপা আমনের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষকদের লাভবান করতে ও সব ধরনের সুবিধা দিতে আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি, কৃষি অফিসের তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমন কাটা শুরু, কৃষকের ঘরে সুখের বার্তা

আপডেট টাইম : ১১:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধু পাকা আমন ধান। সোনালী ধানের শীষ দুলছে মৃদু বাতাসে। পোকামাকড়, রোগ-বালাই আক্রমণ ছাড়া বেড়ে ওঠা পাকা ধান সুখের বার্তা দিচ্ছে কৃষককে।

ইতিধ্যে মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয় না হলে চলতি মাসেই সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা- এমনটাই আশা কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জামালপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চাষ হয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জেলা সদরে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার চর পুরান গ্রামের কৃষক ঠাণ্ডা মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার চর পুরান গ্রামের কৃষক ঠাণ্ডা মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি।

জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, রোপা আমনের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষকদের লাভবান করতে ও সব ধরনের সুবিধা দিতে আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি, কৃষি অফিসের তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।