হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শুধুই পাকা আমন ধান। সোনালী ধানের শীষ দুলছে মৃদু বাতাসে। পোকামাকড়, রোগ-বালাই আক্রমণ ছাড়া বেড়ে ওঠা পাকা ধানের দুলুনি সুখের বার্তা দিচ্ছে কৃষককে।
এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনো বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মাসেই সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা- এমনটাই আশা কৃষি বিভাগের।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জামালপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চাষ হয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা সাম্প্রতিক বন্যায় ফসল নষ্টের ক্ষতি বেশ ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠবে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার টুপকার চর পুরান গ্রামের কৃষক ঠাণ্ডা মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধান ভালো হয়েছে। যথাসময়ে ঘরে তুলতে পারছি, ধানের দামও ভালো পাচ্ছি।
জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, রোপা আমনের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কৃষকদের লাভবান করতে ও সব ধরনের সুবিধা দিতে আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচি, কৃষি অফিসের তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া, সার ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।