ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়: মোস্তাফা জব্বার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৬ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতির হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির ইতিহাসের চূড়ান্ত অভিযাত্রায় ঘটনাবহুল ১৮ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়- মুক্তির ঐতিহাসিক সোপান।

শুক্রবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়য়ের দফতর থেকে স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে স্যুভেনির ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটা কার্ড প্রকাশের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে ডাক অধিদফতর প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে ৩০ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শিট অবমুক্ত করেছে। এছাড়া ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে একটি বিশেষ সিল মোহর ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধুর উপস্থিত ভাষণ, এটির কোন লিখিত পাণ্ডুলিপি ছিল না। বাঙালি জাতির পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনার হাহাকার, অত্যাচার, শোষণ, লাঞ্ছনা আর ক্ষোভ-হতাশার দীর্ঘশ্বাস, অধিকার হরণ ও মর্ম বেদনার অস্ফুট কান্নার সুদীর্ঘ কাহিনী পরম্পরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক মহাকাব্যের মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্ফুরণ ঘটেছে এই ভাষণে। এই ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিপূর্ণ এক দিকনির্দেশনা-ঐতিহাসিক ঘোষণা।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ ইউনেস্কো কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা।

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি শুধু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকেই সম্মান এনে দেয়নি, সমগ্র দেশ ও জাতিকেও সম্মান এনে দিয়েছে। ভাষণটি সম্পর্কে ইউনেস্কো তার ভূমিকাতে লিখেছে- ‘ভাষণটি কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল। উত্তর-ঔপনিবেশিক সাম্প্রদায়িক (অনেক কিছু বা সব কিছু সমেত) গণতান্ত্রিক সমাজ পূর্ণতর করতে পারার ব্যর্থতা কীভাবে তাদের দেশে বসবাসরত জনসমষ্টির অংশ স্বরূপ হওয়া পৃথক (ভিন্নতর) নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ভাষা অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠী (দল, উপদল, শ্রেণী, শাখা) কে বিরূপ ও বৈরী করে ভাষণটি সেটির বিশ্বস্ত উপস্থাপন করে যাচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

আজ থেকে জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম বিক্রি করবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিল মোহরের ব্যবস্থা আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়: মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ০৫:০১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতির হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির ইতিহাসের চূড়ান্ত অভিযাত্রায় ঘটনাবহুল ১৮ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়- মুক্তির ঐতিহাসিক সোপান।

শুক্রবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়য়ের দফতর থেকে স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে স্যুভেনির ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটা কার্ড প্রকাশের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে ডাক অধিদফতর প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে ৩০ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শিট অবমুক্ত করেছে। এছাড়া ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে একটি বিশেষ সিল মোহর ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধুর উপস্থিত ভাষণ, এটির কোন লিখিত পাণ্ডুলিপি ছিল না। বাঙালি জাতির পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনার হাহাকার, অত্যাচার, শোষণ, লাঞ্ছনা আর ক্ষোভ-হতাশার দীর্ঘশ্বাস, অধিকার হরণ ও মর্ম বেদনার অস্ফুট কান্নার সুদীর্ঘ কাহিনী পরম্পরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক মহাকাব্যের মহাকবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্ফুরণ ঘটেছে এই ভাষণে। এই ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিপূর্ণ এক দিকনির্দেশনা-ঐতিহাসিক ঘোষণা।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ ইউনেস্কো কর্তৃক পরিচালিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা।

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি শুধু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকেই সম্মান এনে দেয়নি, সমগ্র দেশ ও জাতিকেও সম্মান এনে দিয়েছে। ভাষণটি সম্পর্কে ইউনেস্কো তার ভূমিকাতে লিখেছে- ‘ভাষণটি কার্যকরভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল। উত্তর-ঔপনিবেশিক সাম্প্রদায়িক (অনেক কিছু বা সব কিছু সমেত) গণতান্ত্রিক সমাজ পূর্ণতর করতে পারার ব্যর্থতা কীভাবে তাদের দেশে বসবাসরত জনসমষ্টির অংশ স্বরূপ হওয়া পৃথক (ভিন্নতর) নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, ভাষা অথবা ধর্মীয় গোষ্ঠী (দল, উপদল, শ্রেণী, শাখা) কে বিরূপ ও বৈরী করে ভাষণটি সেটির বিশ্বস্ত উপস্থাপন করে যাচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

আজ থেকে জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো স্মারক ডাকটিকেট সমন্বয়ে স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম বিক্রি করবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিল মোহরের ব্যবস্থা আছে।