দিয়েগো ম্যারাডোনার স্কিল নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে সব ধরনের ‘স্কিল’ নিয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ম্যারাডোনার সাবেক বান্ধবী ভেরোনিকা ওজেদা। পুরনো হয়ে যাওয়া ওই শয্যাসঙ্গিনীর স্বপ্রণোদিত উচ্চারণ ‘অন্য মাঠেও দিয়েগো সমান পারদর্শী খেলোয়াড়।’
মেক্সিকো বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী দলের মহানায়ক ম্যারাডোনার জীবনে নারী কোনো ঘটনাই নয়। পানির স্রোতের মতো এসেছে আর গিয়েছে। ভেরোনিকা ওজেদাও তাদের একজন। এই আর্জেন্টাইন প্রেমিকা পেশায় শিক্ষক। হুট করেই শান্ত স্বভাবের ভেরোনিকা ম্যাডোনার প্রেম পড়েছিলেন। তখন মাত্রই স্ত্রী ক্লদিয়ার সঙ্গে ম্যারাডোনার বিচ্ছেদ হয়েছে। তার প্রেমিক হৃদয়ের জমিনটা খালি পড়ে ছিল। ফলে ম্যারাডোনা-ভেরোনিকা সম্পর্ক রাতারাতি গড়ে উঠেছিল। বিয়ে হচ্ছে তাদের এমন খবরও চাউর হচ্ছিল। কিন্তু সেই ঘটনা আর ঘটেনি। তবে ম্যারাডোনা-ভেরোনিকার কোলজুড়ে একটা সন্তানও এসেছে। তার নাম ডিয়োগো ফার্নানদো। এটা ম্যারাডোনার পঞ্চম সন্তান। ২০১০ সালের শুরুর দিকে ভেরোনিকা ওজেদার হৃদয়পুরিতে ঢুকেছিলেন ম্যারাডোনা। আর নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্যে ২০১৩ সালেই তাদের সম্পর্কছেদ হয়ে গেছে।
দীর্ঘদিন পর নিজের সুখময় স্মৃতির কথা আলোচনায় এনে ভেরোনিকা ম্যারাডোনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘মাঠে তো তিনি কতই না ফুল ফুটিয়েছেন। তাঁর ফুটবল একসময়ে মন জিতে নিত সবার। ঠিক প্রেমেও বহু সুন্দর ফুল ফুটিয়েছেন। ফুটবল নয়, অন্য খেলাতেও তিনি সমান দক্ষ।’ তার মানে ফুটবল মাঠের মতোই এই প্রেমের মাঠেও স্কিল দেখাতে সিদ্ধহস্ত মারাডোনা। সাবেক বান্ধবী ভেরোনিকা ওজেদাই এই রহস্য ফাঁস করেছেন। ‘অন্য খেলায়’ ভেরোনিকা ম্যারাডোনাকে কিভাবে দেখছেন- এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘সোজা করে বললে শয্যাসঙ্গী পারফরমার হিসেবে দিয়েগোকে আমি ১০ হাজার পয়েন্ট দেব। আর ব্যবসায়ী বন্ধুকে স্কিলের জন্য মাত্র ৪ পয়েন্ট দিব।’