দেশের সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিদের বিরোদ্ধে এই মুহূর্তে দেশে জনগণের ঐক্য দরকার। সরকার জঙ্গি দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।বিরোধী আন্দোলনকে দমন করার নামে অগনতান্তিক পন্হার আশ্রয নিচ্ছে। গনতন্ত্রকে বিপন্ন করে স্বেচ্চাচারীতা চলতে দেওয়া যায় না।এক্ষেত্রে তরুণ সমাজই মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। যেমনটি তারা ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত গণফোরাম সভাপতি পরিষদের সদস্য আবুল কাসেম ও গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. নওয়াব আলীর শোক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সালে রাজনীতিতে যে সংকট ছিল, বর্তমানেও সেই সংকট চলেছে। তখন যেমন ছিল ভোটার বিহীন নির্বাচন ও মিডিয়া ক্যু, বর্তমানেও তেমনি চলছে।
দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়।অনেক আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে এবং গনতন্ত্র প্রাতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ দেশে রাজতন্ত্র কোনোদিন থাকতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, গণফোরাম সভাপতি পরিষদদের সদস্য আবুল কাসেম ও কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক মো. নওয়াব আলী যে নীতিতে রাজনীতি করেছেন আমিও সেই নীতিতে রাজনীতি করবো কিন্তু দলীয় পরিচয়ে নয়।
শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জাম, নারী নেত্রী ফৌজিয়া মুসলেম প্রমুখ।