আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) প্রার্থীর পক্ষে প্রচার অভিযানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংশ নিতে পারবে কি-না তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় নির্বাচনী বিধিমালা ও আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ইউপি নির্বাচনের দল মনোনীত একক প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের সমর্থনের তালিকা লাগবে না বলে খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধিতে ইউপি প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রচারের সুযোগ না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। আর এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন মো. শাহনেওয়াজ।
আবদুল মোবারক তিনি তার প্রস্তাবে লিখেছেন, ‘সরকারি সুবিধাভোগী ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে তাতে মেয়র শব্দের পরে উপজেলা চেয়ারম্যান শব্দগুলি সন্নিবেশ করতে হবে ‘
অন্যদিকে বৈঠক শেষে মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ের একজন নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান। তাকে প্রচারে বাধা দেওয়ার কথা চিন্তা করছি না আমরা।’
পৌর নির্বাচনে সাংসদদের প্রচারের বাইরে রাখায় সরকারি ও বিরোধী দলের তোপের মুখে ছিল নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, নির্বাচনকালীন সময়ে কোন প্রার্থী যদি মারা যায় তখন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারা গেলে বাকিদের মধ্যে ভোট হবে। তবে চেয়ারম্যান পদে কেউ মারা গেলে নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃতফসিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’