মনকাড়া কাশবনে দর্শনার্থীদের ভিড়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশে খয়রাবাদ সেতুর ঢালে দিগন্তজুড়ে ফুটে আছে সারি সারি শুভ্র কাশফুল।

শরতের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে ভিড় করেন বরিশাল ও এর আশপাশ এলাকার অসংখ্য মানুষ। করোনা পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষের কাছে এ কাশবন যেন একরাশ আনন্দ আর সাময়িক মুক্তির বারতা। এখানে তাকালেই দেখা যাবে নীল আকাশের নিচে বাতাসে দোল খায় সাদা কাশফুল। সেই কাশবন যেন হয়ে উঠেছে শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি। তাই তো অনেকেই ছুটছেন সেখানে বিনোদন পেতে।

নতুন এ বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীরা কাঁশফুলের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হচ্ছেন। ক্যামেরা বা মুঠোফোনে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন। আবার অনেক শর্ট ফিল্ম প্রযোজকরা আসেন শর্ট ফিল্ম নির্মাণ করতে। শরতের এ সময়টাতে সাদা আর সবুজের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ছুটে বেড়াতে যায় কোমলমতি শিশু থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধরা।

শরতের বিকেলে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি উপেক্ষা করে যান্ত্রিক পরিবেশকে পেছনে ফেলে প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে প্রায়ই কাশবনে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এখানকার কাশবন যে কারো মনকে উদ্বেলিত করে। খয়রাবাদ নদীর তীর সংলগ্ন এ কাশবনের ভেতরে ঢুকলেই চারদিকে কাশফুল, নদীর ধারে শরীর-মন জুড়িয়ে যাবে দেওয়া বাতাস।

তাই দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কাশবনে বসে কেউ গল্প করছেন। আবার কেউ নিজের ছবি তুলছেন। আর পড়ন্ত বিকেলের কথা তো বলেই শেষ করা যায় না। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়।

কাশবনে আসা সরকারি বিএম কলেজের ছাত্রী জেমি আক্তার ও অঞ্জনা সাহা বলেন, সাদা আর সবুজের মিলনমেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা খয়রাবাদ নদীর তীরে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতিই অন্যরকম। সাদা মেঘের সঙ্গে এ কাশফুলের সাদা রং মনকেও সাদা করে দেয়। শরৎ কাশবনকে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর