ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্বিনের ঢলে ডুবছে কৃষকের আশা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আশ্বিনের পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এ পরিস্থিতিতে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে ডুবে যাচ্ছে শত শত বিঘা রোপা আমন ধান। আষাঢ়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিরা অনেক আশা নিয়ে এবারের মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষ করেছিলেন।

জানা গেছে, বাহাদুরাবাদ পয়েন্ট যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি আমন ধানের জমিতে ঢুকে পড়ায় তলিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির ধান।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল মান্নান জানান, অব্যাহত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আশ্বিনের ঢলে তলিয়ে গেছে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান

আশ্বিনের ঢলে তলিয়ে গেছে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউপির ছবিলাপুর, কাহেতপাড়া, পশ্চিম ঘোষেরপাড়া, পূর্ব ছবিলাপুর, সরিষাবাড়ীর কুলপাল চর, আওনার চর, ঘুইঞ্চাচরসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ কৃষকের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

সরিষাবাড়ীর আমন চাষি বিটল মিয়া বলেন, গত মৌসুমে বোরো ধান বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। এবার বহু কষ্টে অনেক আশা নিয়ে চার বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছিলাম। তিনদিন ধরে পুরো জমি পানির নিচে রয়েছে। আমার বয়সে আশ্বিন মাসে এমন বন্যা দেখিনি। আশ্বিনের ঢল আমার সব আশা ডুবিয়ে দিয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখনো বেশি ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কিংবা দ্রুত নেমে না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।

দেওয়ানগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান নান্নু জানান, যে অনুপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানির স্থায়িত্ব বেশিদিন থাকলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমের ফসলগুলো সঠিকভাবে কৃষকদের চাষ করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আশ্বিনের ঢলে ডুবছে কৃষকের আশা

আপডেট টাইম : ১১:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আশ্বিনের পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এ পরিস্থিতিতে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে ডুবে যাচ্ছে শত শত বিঘা রোপা আমন ধান। আষাঢ়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বোরো চাষিরা অনেক আশা নিয়ে এবারের মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষ করেছিলেন।

জানা গেছে, বাহাদুরাবাদ পয়েন্ট যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি আমন ধানের জমিতে ঢুকে পড়ায় তলিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা জমির ধান।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল মান্নান জানান, অব্যাহত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সরিষাবাড়ী, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আশ্বিনের ঢলে তলিয়ে গেছে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান

আশ্বিনের ঢলে তলিয়ে গেছে জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির রোপা আমন ধান

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউপির ছবিলাপুর, কাহেতপাড়া, পশ্চিম ঘোষেরপাড়া, পূর্ব ছবিলাপুর, সরিষাবাড়ীর কুলপাল চর, আওনার চর, ঘুইঞ্চাচরসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ কৃষকের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

সরিষাবাড়ীর আমন চাষি বিটল মিয়া বলেন, গত মৌসুমে বোরো ধান বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। এবার বহু কষ্টে অনেক আশা নিয়ে চার বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছিলাম। তিনদিন ধরে পুরো জমি পানির নিচে রয়েছে। আমার বয়সে আশ্বিন মাসে এমন বন্যা দেখিনি। আশ্বিনের ঢল আমার সব আশা ডুবিয়ে দিয়েছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখনো বেশি ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কিংবা দ্রুত নেমে না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে।

দেওয়ানগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান নান্নু জানান, যে অনুপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানির স্থায়িত্ব বেশিদিন থাকলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমের ফসলগুলো সঠিকভাবে কৃষকদের চাষ করতে হবে।