ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনহা হত্যা: কনস্টেবল রুবেলের ৭ দিনের রিমান্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে র‌্যাব। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে রুবেল শর্মাকে হাজির করা হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে কক্সবাজার কারাগারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কনস্টেবল রুবেলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আগে গ্রেফতার অন্যান্য আসামিরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম আসে।

এ কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের একটি দল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার দেখানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের কাজে কক্সবাজারে যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। গত ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের ৭ সদস্য। গত এক মাসে র‌্যাব এপিবিএন’র তিন সদস্য, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আটক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিনহা হত্যা: কনস্টেবল রুবেলের ৭ দিনের রিমান্ড

আপডেট টাইম : ১০:৩০:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে র‌্যাব। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে রুবেল শর্মাকে হাজির করা হয়। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে কক্সবাজার কারাগারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কনস্টেবল রুবেলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আগে গ্রেফতার অন্যান্য আসামিরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম আসে।

এ কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের একটি দল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার দেখানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের কাজে কক্সবাজারে যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। গত ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের ৭ সদস্য। গত এক মাসে র‌্যাব এপিবিএন’র তিন সদস্য, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আটক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।