সারাদেশে গত বছরের মানবাধিকারের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সুলতানা কামাল। শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৫ পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সুলতানা কামাল বলেন, ন্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কা থেকে গণপিটুনি ও আইন হাতে তুলে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এ জন্য রাষ্ট্র দায়ী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০১৫ সালে সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের সংখ্যা কমেছে। কমেছে এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনাও। তবে বেড়েছে শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা।
২০১৫ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে দেশে ১২ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর আগের বছরে এ সংখ্যা ছিলো ৩২। আর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা বিগত বছরের তুলনায় কমেছে। ২০১৫ সালে ১৫ নারী এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। ২০১৪ সালে যে সংখ্যা ছিলো ৪৮।
তবে বছরের মাঝামাঝিতে শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছিলো। নির্যাতনে মাত্রা ও ধরনে ছিলো চরম নিষ্ঠুরতা। ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজন, ৩ আগস্ট খুলনায় শিশু রাকিব এবং ২ অক্টোবর গাইবান্ধায় সাংসদের হাতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে।