ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

সুনামগঞ্জে হতাশ হয়ে পড়েছেন লিচু চাষীরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০১৫
  • ৫১৫ বার
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার লিচু চাষীরা এবার হতাশ হয়ে পড়েছেন। প্রচন্ড খরায় ঝরে গেছে প্রায় ৬০ভাগ লিচু। আর ২০ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ দ্বারা।
এ অবস্থায় আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা। উপজেলার লিচু চাষীরা জানান প্রতিবছর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে এ উপজেলার লিচু চাষীরা উৎসব পালন করতেন। বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত লিচু ব্যবসায়ীদের র্দীঘ লাইন পড়ত। কিন্তু এ বছর ফলন ভাল না হওয়া তার চিত্র পাল্টে গেছে।
অথচ এখানকার উৎপাদিত লিচু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, দিরাই ও সিলেট বিভাগীয় শহর, বিশ্বনাথসহ আরো অন্যান্য জায়গা নিয়ে সরবরাহ করা হতো। প্রতিবছর কোটি টাকার লিচু উৎপাদন ও বাজারজাত করে প্রায় সহশ্রাধিক পরিবার সারা বছর স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করে আসছে। এ উপজেলায় লিচুর গ্রাম হিসেবে মানিকপুর-গোদাবাড়ি। এছাড়া রয়েছে কঁচুদাউড়, চাঁনপুর, বড়গল্লা, টেংরা, লামাসানিয়া, লাস্তবেরগাঁও, পরমেশ্বরীপুর।
মানিকপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক আব্দুল মমিন ও আরব আলী বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা লিচু চাষ করি কিন্তু এ বছর প্রচন্ড খরার কারণে শুরুতেই ৬০ভাগ লিচু নষ্ট হয়ে গেছে। গোড়াবাড়ি গ্রামের লিচু চাষী সাইদুর রহমান, সুন্দর আলী, জয়নাল আবেদীনসহ আরো অনেকেই বলেন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকলে অন্তত পাখির উপদ্রব থেকে ২০ভাগ লিচু রক্ষা করা যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে এখানকার লিচু উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এ বছর লিচু চাষীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে আগামীতে চায়না-৩ জাতীয় লিচু চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

সুনামগঞ্জে হতাশ হয়ে পড়েছেন লিচু চাষীরা

আপডেট টাইম : ০৪:২২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০১৫
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার লিচু চাষীরা এবার হতাশ হয়ে পড়েছেন। প্রচন্ড খরায় ঝরে গেছে প্রায় ৬০ভাগ লিচু। আর ২০ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ দ্বারা।
এ অবস্থায় আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা। উপজেলার লিচু চাষীরা জানান প্রতিবছর বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে এ উপজেলার লিচু চাষীরা উৎসব পালন করতেন। বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত লিচু ব্যবসায়ীদের র্দীঘ লাইন পড়ত। কিন্তু এ বছর ফলন ভাল না হওয়া তার চিত্র পাল্টে গেছে।
অথচ এখানকার উৎপাদিত লিচু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, দিরাই ও সিলেট বিভাগীয় শহর, বিশ্বনাথসহ আরো অন্যান্য জায়গা নিয়ে সরবরাহ করা হতো। প্রতিবছর কোটি টাকার লিচু উৎপাদন ও বাজারজাত করে প্রায় সহশ্রাধিক পরিবার সারা বছর স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করে আসছে। এ উপজেলায় লিচুর গ্রাম হিসেবে মানিকপুর-গোদাবাড়ি। এছাড়া রয়েছে কঁচুদাউড়, চাঁনপুর, বড়গল্লা, টেংরা, লামাসানিয়া, লাস্তবেরগাঁও, পরমেশ্বরীপুর।
মানিকপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিক আব্দুল মমিন ও আরব আলী বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা লিচু চাষ করি কিন্তু এ বছর প্রচন্ড খরার কারণে শুরুতেই ৬০ভাগ লিচু নষ্ট হয়ে গেছে। গোড়াবাড়ি গ্রামের লিচু চাষী সাইদুর রহমান, সুন্দর আলী, জয়নাল আবেদীনসহ আরো অনেকেই বলেন, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকলে অন্তত পাখির উপদ্রব থেকে ২০ভাগ লিচু রক্ষা করা যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হলে এখানকার লিচু উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এ বছর লিচু চাষীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে আগামীতে চায়না-৩ জাতীয় লিচু চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।