ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • ২৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবার আমন ধান চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা।

খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এরইমধ্যে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমান ধান রোপণ করা হয়েছে।

বন্যায় আউশ মৌসুমে উপজেলা সদর, গোনা, মিরাট, কাশিমপুর, বড়গাছা ইউপিসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ১৪ শ’ ২৫ হেক্টর জমির ধান বন্যায় তলিয়ে গেছে। ১ শ’ ৪৪ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা জমির আগাছা পরিষ্কার করে আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন।

এবার উপজেলায় স্বর্ণা পাঁচ, বিধান ৩৪, হাইব্রিড, গোল্ডেন রাইট, বিধান ৮৭, ৭১সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে ইরি-বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা।

রাণীনগর উপজেলার গৌড়দিঘী গ্রামের কৃষক স্বপন সরকার, বেলঘরিয়া গ্রামের হাসান আলীসহ অনেকেই জানান, বন্যায় জমি তলিয়ে যাওয়ায় আমন ধান রোপণ করা সম্ভব হয়নি। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জমির আগাছা পরিষ্কার করে জমিতে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কৃষক নুর মুহাম্মদ ও ইমরান হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে বেশ কিছু জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার বেশ কয়েক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। কিছু জমি একটু নিচু হওয়ায় ফেলে রেখেছি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে ধান রোপণ করা হবে।  এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে।

বন্যাদুর্গত বেতগাড়ি এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন জানান, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া তাদের জমি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। হয়েতো আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধান রোপণ শুরু করা হবে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে কোনো জমি যেন পতিত না থাকে সেজন্য কৃষি বিভাগ মাঠে ঘুরে বিভিন্ন কাজ করছে। ধানের ভালো দাম পাওয়ায় আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান রোপণ শেষ হবে বলেও আশা করছেন তিনি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমন ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৭:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় এবার আমন ধান চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা।

খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলার রাণীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এরইমধ্যে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমান ধান রোপণ করা হয়েছে।

বন্যায় আউশ মৌসুমে উপজেলা সদর, গোনা, মিরাট, কাশিমপুর, বড়গাছা ইউপিসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ১৪ শ’ ২৫ হেক্টর জমির ধান বন্যায় তলিয়ে গেছে। ১ শ’ ৪৪ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা জমির আগাছা পরিষ্কার করে আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন।

এবার উপজেলায় স্বর্ণা পাঁচ, বিধান ৩৪, হাইব্রিড, গোল্ডেন রাইট, বিধান ৮৭, ৭১সহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বাজারে ইরি-বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে তেমনি বাজারে দামও বেশ ভালো পেয়েছেন চাষিরা।

রাণীনগর উপজেলার গৌড়দিঘী গ্রামের কৃষক স্বপন সরকার, বেলঘরিয়া গ্রামের হাসান আলীসহ অনেকেই জানান, বন্যায় জমি তলিয়ে যাওয়ায় আমন ধান রোপণ করা সম্ভব হয়নি। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জমির আগাছা পরিষ্কার করে জমিতে ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কৃষক নুর মুহাম্মদ ও ইমরান হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে বেশ কিছু জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার বেশ কয়েক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। কিছু জমি একটু নিচু হওয়ায় ফেলে রেখেছি। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমিতে ধান রোপণ করা হবে।  এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে।

বন্যাদুর্গত বেতগাড়ি এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন জানান, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া তাদের জমি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। হয়েতো আগামী সপ্তাহ থেকে আমন ধান রোপণ শুরু করা হবে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে কোনো জমি যেন পতিত না থাকে সেজন্য কৃষি বিভাগ মাঠে ঘুরে বিভিন্ন কাজ করছে। ধানের ভালো দাম পাওয়ায় আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমন ধান রোপণ শেষ হবে বলেও আশা করছেন তিনি।