হাওর বার্তা ডেস্কঃ কভিড ১৯-এ বিপর্যস্ত বিশ্ববাসী। একদিকে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সুসংবাদ, অন্যদিকে এর মোকাবেলায় আমাদের স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের পরিকল্পনা।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সামনে রেখেই পুরো স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার এখনই সময়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল।
অবকাঠামো আছে, যন্ত্রপাতি আছে, ওষুধপথ্যের সরবরাহ আছে নিয়মিত, আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী; শুধু নেই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা।
এই লক্ষ্যে কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যান্সার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আরএক্স মীমসের পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় ‘কোভিড-১৯ ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিকে কি মেসেজ দিল’ এ প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে কানাডার ক্যালগেরিতে আগামী ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা এবং কানাডার সময় শনিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক ভার্চুয়াল আলোচনা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সব অংশেই পচন ধরেছে। নিয়োগ-পদায়ন, কেনাকাটা, পেশাগত আচরণ, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব সব জায়গায় অনিয়ম এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
এ মুহূর্তে প্রয়োজন পরিকল্পনামাফিক সংস্কার আর কাঠামোগত পরিবর্তন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। একদিকে দেশীয় ভাবমূর্তি, অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন এখন সময়ের দাবি মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বব্যাপী মহামারীতে মানুষের ব্যয় এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন খাতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। ওষুধ শিল্প খাতেও জরুরি ওষুধের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এবং নতুন ওষুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো করছে একের পর এক পরিকল্পনা।
আর এই লক্ষ্যে কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যান্সার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আরএক্স মীমসের পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওই ভার্চুয়াল আলোচনা।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ইউনিভার্সিটির রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান প্রফেসার একেএম মোশাররাফ হোসেন, কার্ডিওলজিসট ডা. মিজানুর রহমান, পপুলার ফার্মার ডেপুটি জেনেরাল ম্যানেজার দীপক কুমার সাহা, টিম ফার্মার ডিরেক্টর মার্কেটিং মো. আমিনুল ইসলাম, গ্লোব ফার্মার চিফ মারকেটিং অফিসার হুমায়ুন কবির, জেসন ফার্মার ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন, এশিয়াটিক ফার্মার হেড অব মার্কেটিং মো. মাসুম চৌধুরী, মুন্ডি ফার্মার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনেরাল ম্যানেজার এবং সেলস জামিল উদ্দীন মোজমাদার, জিসকা ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) ইফতেখাইরুল আলম, কুমুদিনি ফার্মার জেনারেল ম্যানেজার গোলাম জিলানী এবং অ্যালকো ফার্মার ম্যানেজার মো. আবদুর রব।
আয়োজক কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যান্সার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আরএক্স মীমসের পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিন বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় আমরা পার করছি।
এ সময়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের ওষুধশিল্পকে যেমন প্রস্তুত থাকতে হবে, তেমনি পিপল ম্যানেজমেন্টকেও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর এসব বিষয়গুলো উঠে আসবে আমাদের আগামী ভার্চুয়াল আলোচনায়।
তিনি আরও বলেন, যে ঝুঁকির মধ্যে ফার্মা এক্সিকিউটিভরা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং তাদের কার্যক্রম সচল রাখতে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন, অ্যান্টিভাইরাল বা অন্য থেরাপিউটিক সমাধানের জন্য এগিয়ে চলেছেন তাও উঠে আসবে ভার্চুয়াল আলোচনায়।