হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বিন্নাটি খোরশেদ উদ্দিন ভূঞা দাখিল মাদ্রাসায় এক মুক্তিযোদ্ধার পারিবরিক কবরস্স্থান ও সরকারী খাল দখল করে বিল্ডিং নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। খাল ভরাটের কারনে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুভোর্ পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার বিন্নাটি খোরশেদ উদ্দিন ভূঞা দাখিল মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে একটি পাঁচ কোটি টাকার বাজেট এসেছে। এ বাজেটে মাদ্রাসায় দুটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। দেখা যায়, যে জায়গাতে মাদ্রাসার নতুন বিল্ডিং নির্মানের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ওই জায়গাতে মুক্তিযোদ্ধা মো. মাতাব উদ্দিনের আত্মীয় স্বজনদের পারিবারিক লোকজনের কবর দেয়া হয়েছে । মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এসব কবরস্থান ও সরকারী খাল উপেক্ষা করে জোর পূর্বক বিল্ডিং নির্মানের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, মাদ্রসার পশ্চিম দিকে সরকারের রেকর্ড ভূক্ত ১ নং খতিয়ানের এস এ দাগ ২৪০১ ও ২৪০২ যার আর এস দাগ নং ৪০০৮ শ্রেনী হালটে সরকারী খাল রয়েছে।যা ভরাট করে বিল্ডিং নির্মান প্রস্ততি চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ খাল ভরাটের কারনে এলাকায় এখন প্রতিদিনই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসী চরম দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার ভূক্তভোগী মো. নূর ইসলাম রাজু অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ভাবে খাল ও মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক কবরস্থান দখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আমাদের এলাকায় হাজারো মানুষের দুভোর্গে ফেলেছে। তারা জোর পূর্বক ভাবে ব্যক্তিগত মালিকানা কবরের জায়গা ও সরকারী খাল দখল করে বিল্ডিং নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)’র বরাবর এলাকার শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
খোরশেদ উদ্দিন ভূঞা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি এ মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে যোগদান করার পর মাদ্রাসার জায়গার উপর সরকারী খাল ও কবরস্থান পড়েছে বলে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রসার পরিচালানা কমিটির সভাপতি মো. শরিফ আহম্মেদ সাদী বলেন, এখানে কোন করব আছে বলে জানা নাই। প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে ।
কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর জানান, এ ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। তবে সরকারী খাল দখল করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: দৈনিক প্রেরণা