ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামী নববধূকে হত্যার কথা স্বীকার করল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০
  • ১৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রেম করে বিয়ে করার দুই মাসের মাথায় তুচ্ছ ঘটনায় স্বামীর হাতে খুন হয় নববধূ সীমা আক্তার।

এ ঘটনার প্রায় তিন মাসের মাথায় খুনি রাশেদকে (৩০) গ্রেফতার করে ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে নববধূকে হত্যার কথা স্বীকার করল রাশেদ। রাতে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ সিমা উপজেলার চরমোহনা গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে রাশেদের স্ত্রী এবং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছৈয়াল বাড়ির দিনমজুর মো. খোকনের মেয়ে।

গত ৪ মে উপজেলার চরমোহনা ইউপির দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ী থেকে সীমা আক্তারের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন সীমার মা সালেহা বেগম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর চার মাস আগে হায়দার আলীর ছেলে রাশেদ সীমাকে বিয়ে করে বাড়িতে তোলেন। উভয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক ও বিয়ে মেনেও নিয়েছে। বিয়ের পর রাশেদ জানতে পারেন সীমার বাবা সুইপারের কাজ করে সংসার চালান।

এনিয়ে প্রায় সময় দু’জনের মধ্য তুচ্ছ ঘটনায় মনোমালিন্য ও একাধিকবার সীমাকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনও করে রাশেদ। পরে সে থানায় সাধারণ ডায়রি করে।

সালেহা বলেন, সীমার মরদেহ দাফনের পর রাশেদ পালিয়ে যায়। তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি সীমাকে রাশেদ খুন করেছে।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, সীমাকে হত্যা করার পরের দিনই বাড়ি থেকে পলাতক ছিলো ঘাতক রাশেদ। প্রেম করার দুই মাসের মাথায় শশুরবাড়িতেই স্বামীর হাতে খুন হন সীমা আক্তার।

শুক্রবার রাশেদকে তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় বিচারকের কাছে সীমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাতে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে রাশেদকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বামী নববধূকে হত্যার কথা স্বীকার করল

আপডেট টাইম : ১০:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রেম করে বিয়ে করার দুই মাসের মাথায় তুচ্ছ ঘটনায় স্বামীর হাতে খুন হয় নববধূ সীমা আক্তার।

এ ঘটনার প্রায় তিন মাসের মাথায় খুনি রাশেদকে (৩০) গ্রেফতার করে ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে নববধূকে হত্যার কথা স্বীকার করল রাশেদ। রাতে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ সিমা উপজেলার চরমোহনা গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে রাশেদের স্ত্রী এবং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছৈয়াল বাড়ির দিনমজুর মো. খোকনের মেয়ে।

গত ৪ মে উপজেলার চরমোহনা ইউপির দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ী থেকে সীমা আক্তারের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় রায়পুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেছিলেন সীমার মা সালেহা বেগম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর চার মাস আগে হায়দার আলীর ছেলে রাশেদ সীমাকে বিয়ে করে বাড়িতে তোলেন। উভয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক ও বিয়ে মেনেও নিয়েছে। বিয়ের পর রাশেদ জানতে পারেন সীমার বাবা সুইপারের কাজ করে সংসার চালান।

এনিয়ে প্রায় সময় দু’জনের মধ্য তুচ্ছ ঘটনায় মনোমালিন্য ও একাধিকবার সীমাকে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনও করে রাশেদ। পরে সে থানায় সাধারণ ডায়রি করে।

সালেহা বলেন, সীমার মরদেহ দাফনের পর রাশেদ পালিয়ে যায়। তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি সীমাকে রাশেদ খুন করেছে।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান, সীমাকে হত্যা করার পরের দিনই বাড়ি থেকে পলাতক ছিলো ঘাতক রাশেদ। প্রেম করার দুই মাসের মাথায় শশুরবাড়িতেই স্বামীর হাতে খুন হন সীমা আক্তার।

শুক্রবার রাশেদকে তার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় বিচারকের কাছে সীমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রাতে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে রাশেদকে।