ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ হাসিনাতেই নিরাপদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ৩০২ বার

বিজয়ের ৪৪ বছর। হাজার বছরের শোষণ আর নিপীড়নের সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের এই দিনে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে ‘বাংলাদেশ’ নামের রাষ্ট্রের। শত বঞ্চনার যাতাকলে নিষ্পেষিত বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির তাগিদে বঙ্গবন্ধু যখন তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই অমবশ্যা হয়ে আসে ১৫ আগস্ট। ঘাতকেরা ওই দিন শুধু জাতির জনকের জীবন প্রদীপই নিভিয়ে দেয়নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেও বেঈমানি করে। ’৭৫-এর পর সামরিক ফরমান আর ধর্মান্ধতার ছায়ায় রাষ্ট্র পরিচালিত হতে থাকে পাকিস্তানি ভাবধারায়।

এমনই ক্রান্তিকালে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত থাকার পর জীবন বাজি রেখে বাবার হাতে গড়া দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা আর জীবন বিনাশী ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন এক অদম্য গতিতে। যেন তার হাতেই আজ সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ অধিক নিরাপদ, নিশ্চিত নির্ভার।

১৭ মে, ১৯৮১ সাল। ভারী বর্ষণ আর ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকার রাজপথ সেদিন সিক্ত হয়ে উঠেছিল। অঝোর বারিধারা যেন সর্বহারার বেদনাকেই স্মরণ করে দিচ্ছিলো। কিন্ত না, তা ছিল আনন্দ অশ্রু। ছিল স্বজনকে ফিরে পাওয়ার বাংলা মায়ের আবেগের কান্না। ওই দিন বিমানবন্দরে নেমেই কাঁদলেন, কাঁদালেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা। বৃষ্টির জলে নয়নের জল মিশে যেন একাকার। সেদিন হৃদয়বিদারক এমন দৃশ্যে করুণের সুরলহরি বেজে উঠলেও জৈষ্ঠের তাপদাহ নিমিশেই যেন শীতলে রূপ নেয়।

ঢাকার সমস্ত রাস্তা সেদিন মিলেছিল বিমানবন্দরে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানাতে। গোটা ঢাকা যেন পরিণত হয় এক মহাজনসমুদ্রে। দীর্ঘ প্রবাস জীবন ছেড়ে আটপৌঢ়ে গৃহবধূ শেখ হাসিনা ছুটে এসেছিলেন বাংলা মায়ের কোলে।

প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে নেমেই শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আজ আমি এসেছি বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’ দেশে তখন গণতন্ত্রের বদলে সামরিক শাসন। সামরিক শাসনের এমন দিনে শেখ হাসিনা এসেছিলেন মুক্তির দিশারী হয়ে। আঘাত করলেন গণতন্ত্রের বদ্ধ দুয়ারে। হাল ধরলেন, বাবার হাতে তিল তিল করে গড়ে ওঠা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের অপর নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জন্মের পর থেকেই একেকটি ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ একেকটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে একক নেতৃত্ব গড়ে তোলে সংগঠনটি। এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনেও দলটির অগ্রাধিক ভূমিকা রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দলে মহাবিপর্যয় নেমে আসে। ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেলেও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল তখন খুবই দুর্বল। দলের এমন দুর্দিনে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার আগেই বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।

দায়িত্ব পেয়েই বাবার দেখানো পথে দলকে পুনর্গঠন করতে থাকেন শেখ হাসিনা। দলের মধ্যে একক নেতৃত্বে অবস্থান করেন তিনি। দীর্ঘ সংগ্রাম আর আন্দোলের পর তারই নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষামতায় আসে। দলের সভাপতি পদে থেকেই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালের পর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও নিজেদের ভুল শুধরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ফের গণমানুষের দলে রূপ নেয়।

১/১১ এর পর মাইনাস টু-ফর্মুলায় শেখ হাসিনাকে দল থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য এবং তৃণমুলের নিরঙ্কুশ সমর্থন থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার হাতেই দলের দায়িত্ব থেকে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিশাল সংগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যদিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংবিধান রক্ষার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। আর শেখ হাসিনা হন তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী।

ধারাবাহিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা আজ সরকারের মধ্যে যেমন অধিক শক্তিশালী, তেমনি দলের মধ্যে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সুদিনে সবাইকে পাশে নিয়ে আর দুর্দিনে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বন্ধুর পথে এগিয়ে চলছেন। কৌশলে পাশে নিয়েছেন আওয়ামী লীগরই বিরোধিতাকারী বামপন্থি নেতৃবৃন্দ্র ও সংগঠনকে।

সংগ্রামের এ পথ চলায় বহুবার হামলার শিকার হয়েছেন শেখ হাসিনা। সাড়ে তিন যুগের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য মামলার আসামিও হতে হয়েছে তাকে। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকবার। তবুও যেন ইস্পাতসম মনোবল। আর এমন মনোবল নিয়েই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচয় পরিচিতি দিয়ে চলছেন তিনি।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেতারা। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়।

বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়েছেন শেখ হাসিনা। সীমান্ত চুক্তি আর সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুটি বড় অর্জন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্ব স্বীকৃত। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আজ আপোসহীন নেতা।

দেশ বিদেশের ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বৈশ্বিক আলোচনা-সমালোচনাতেও গুরুত্ব পাচ্ছেন আওায়মী লীগের এই সভানেত্রী। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এক দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ হাসিনাতেই নিরাপদ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

বিজয়ের ৪৪ বছর। হাজার বছরের শোষণ আর নিপীড়নের সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের এই দিনে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে ‘বাংলাদেশ’ নামের রাষ্ট্রের। শত বঞ্চনার যাতাকলে নিষ্পেষিত বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির তাগিদে বঙ্গবন্ধু যখন তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই অমবশ্যা হয়ে আসে ১৫ আগস্ট। ঘাতকেরা ওই দিন শুধু জাতির জনকের জীবন প্রদীপই নিভিয়ে দেয়নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেও বেঈমানি করে। ’৭৫-এর পর সামরিক ফরমান আর ধর্মান্ধতার ছায়ায় রাষ্ট্র পরিচালিত হতে থাকে পাকিস্তানি ভাবধারায়।

এমনই ক্রান্তিকালে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত থাকার পর জীবন বাজি রেখে বাবার হাতে গড়া দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা আর জীবন বিনাশী ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন এক অদম্য গতিতে। যেন তার হাতেই আজ সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ অধিক নিরাপদ, নিশ্চিত নির্ভার।

১৭ মে, ১৯৮১ সাল। ভারী বর্ষণ আর ঝড়ো হাওয়ায় ঢাকার রাজপথ সেদিন সিক্ত হয়ে উঠেছিল। অঝোর বারিধারা যেন সর্বহারার বেদনাকেই স্মরণ করে দিচ্ছিলো। কিন্ত না, তা ছিল আনন্দ অশ্রু। ছিল স্বজনকে ফিরে পাওয়ার বাংলা মায়ের আবেগের কান্না। ওই দিন বিমানবন্দরে নেমেই কাঁদলেন, কাঁদালেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা। বৃষ্টির জলে নয়নের জল মিশে যেন একাকার। সেদিন হৃদয়বিদারক এমন দৃশ্যে করুণের সুরলহরি বেজে উঠলেও জৈষ্ঠের তাপদাহ নিমিশেই যেন শীতলে রূপ নেয়।

ঢাকার সমস্ত রাস্তা সেদিন মিলেছিল বিমানবন্দরে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানাতে। গোটা ঢাকা যেন পরিণত হয় এক মহাজনসমুদ্রে। দীর্ঘ প্রবাস জীবন ছেড়ে আটপৌঢ়ে গৃহবধূ শেখ হাসিনা ছুটে এসেছিলেন বাংলা মায়ের কোলে।

প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে নেমেই শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আজ আমি এসেছি বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’ দেশে তখন গণতন্ত্রের বদলে সামরিক শাসন। সামরিক শাসনের এমন দিনে শেখ হাসিনা এসেছিলেন মুক্তির দিশারী হয়ে। আঘাত করলেন গণতন্ত্রের বদ্ধ দুয়ারে। হাল ধরলেন, বাবার হাতে তিল তিল করে গড়ে ওঠা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের অপর নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জন্মের পর থেকেই একেকটি ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ একেকটি ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে একক নেতৃত্ব গড়ে তোলে সংগঠনটি। এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনেও দলটির অগ্রাধিক ভূমিকা রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দলে মহাবিপর্যয় নেমে আসে। ১৯৭৬ সালে ঘরোয়া পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেলেও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল তখন খুবই দুর্বল। দলের এমন দুর্দিনে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার আগেই বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়।

দায়িত্ব পেয়েই বাবার দেখানো পথে দলকে পুনর্গঠন করতে থাকেন শেখ হাসিনা। দলের মধ্যে একক নেতৃত্বে অবস্থান করেন তিনি। দীর্ঘ সংগ্রাম আর আন্দোলের পর তারই নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষামতায় আসে। দলের সভাপতি পদে থেকেই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালের পর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও নিজেদের ভুল শুধরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ফের গণমানুষের দলে রূপ নেয়।

১/১১ এর পর মাইনাস টু-ফর্মুলায় শেখ হাসিনাকে দল থেকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য এবং তৃণমুলের নিরঙ্কুশ সমর্থন থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার হাতেই দলের দায়িত্ব থেকে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিশাল সংগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এলে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যদিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংবিধান রক্ষার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। আর শেখ হাসিনা হন তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী।

ধারাবাহিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা আজ সরকারের মধ্যে যেমন অধিক শক্তিশালী, তেমনি দলের মধ্যে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। সুদিনে সবাইকে পাশে নিয়ে আর দুর্দিনে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বন্ধুর পথে এগিয়ে চলছেন। কৌশলে পাশে নিয়েছেন আওয়ামী লীগরই বিরোধিতাকারী বামপন্থি নেতৃবৃন্দ্র ও সংগঠনকে।

সংগ্রামের এ পথ চলায় বহুবার হামলার শিকার হয়েছেন শেখ হাসিনা। সাড়ে তিন যুগের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য মামলার আসামিও হতে হয়েছে তাকে। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিকবার। তবুও যেন ইস্পাতসম মনোবল। আর এমন মনোবল নিয়েই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচয় পরিচিতি দিয়ে চলছেন তিনি।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যেকোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেতারা। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়।

বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়েছেন শেখ হাসিনা। সীমান্ত চুক্তি আর সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুটি বড় অর্জন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্ব স্বীকৃত। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আজ আপোসহীন নেতা।

দেশ বিদেশের ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে বৈশ্বিক আলোচনা-সমালোচনাতেও গুরুত্ব পাচ্ছেন আওায়মী লীগের এই সভানেত্রী। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এক দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা, এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে।