কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বাজিতপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু মিয়াসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বিবাদমান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ফিশারিতে গোসল করা নিয়ে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়ার ভাতিজা হোসাইন ও মথুরাপুর গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় হোসাইনকে মারধর করে ওয়াহিদ মিয়ার লোকজন।
এর জের ধরে শনিবার সকালে হোসাইন তার লোকজন নিয়ে ওয়াহিদ মিয়ার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু মিয়া মিয়া, মামুন, রোমান, সজল, রাকিব ও চান বাদশা গুলিবিদ্ধ হয়। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। তাদের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে চেয়ারম্যানের ভাতিজা গ্রুপের সাত জনকে আটক করা হয়।
নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পৌরসভার ১, ২ নং ওয়ার্ড ও দিঘিরপাড় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এজেডএম শারজিল হাসান জানান, বিবাদমান এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।