ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৮৫ বার

অসুস্থ থাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবারও হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। সানাউল্লাহ মিয়া জানান, গত৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ এ মামলার সাক্ষীকে জেরা করা হয়। আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন। খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে সেদিন আদালতে হাজির হতে পারেননি। আগামীকালও তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। মামলায় সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ বলেন, হাতে ব্যথাসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া কাল আদালতে যাচ্ছেন না। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে অভিযোগপত্রে। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া

আপডেট টাইম : ১১:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫

অসুস্থ থাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবারও হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছেন না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। সানাউল্লাহ মিয়া জানান, গত৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ এ মামলার সাক্ষীকে জেরা করা হয়। আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন। খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে সেদিন আদালতে হাজির হতে পারেননি। আগামীকালও তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। মামলায় সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ বলেন, হাতে ব্যথাসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া কাল আদালতে যাচ্ছেন না। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে অভিযোগপত্রে। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।