ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছেন `সিস্টার হেলেন’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫
  • ৩০৭ বার
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে নারীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করলেই হবে না। সাথে সাথে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তিও দিতে হবে। আর সমাজের সকল স্তরের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন কর্মী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
শনিবার বিকালে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের উপর নির্মিত ‘সিস্টার হেলেন’ প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে দেশ। এদেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
কর্নেল (অব.) কামারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে শত প্রতিকূলতার মধ্যে নারীদের এগিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাদের চলার পথে অনেক কাঁটা থাকে। তাই সামনে কাঁটা দেখলে ভয় পেলে চলবে না। সেই কাঁটা মাড়িয়েই তাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন রানা বলেন, দেশে নারীদের চলার পথ মসৃণ নয়। সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কাজ করছেন আরেকজন নারী। তিনি মাদার তেরেসার মত পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবন ব্যয় করছেন। তাই আমরা আজ থেকে তাকে ‘সিস্টার হেলেন’ বলবো।
হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, একটা সময়ে তো নারী বাইরেই বের হতো না। কেবল ঘরের কাজ করত। বাইরে যাওয়া তার নিষেধ ছিল। এই সামাজিক বিধি নিষেধ ধীরে ধীরে কমেছে। আমার পরবর্তী সময়ে হয়তো আরও কমবে। নারীর সাফল্য, নারীর অগ্রগতি, সমাজ স্বীকার করতে চায় না। এটা আজ থেকে নয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটা হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। সমাজটা পুরুষশাসিত। ফলে একদিনে আপনি পরিবর্তন চাইলে হবে না। এবং পরিবর্তনে পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না যদি না নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি না হয়। নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমৃত্যু কাজ করতে চাই আমি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গড়বো বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদা, লে. কর্ণেল (অব.) ফরিদুল আকবর, মেজর(অব.) জিল্লুর রহমান, হোসনে আরা ইদ্রিস প্রমুখ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছেন `সিস্টার হেলেন’

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে নারীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করলেই হবে না। সাথে সাথে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তিও দিতে হবে। আর সমাজের সকল স্তরের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন কর্মী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
শনিবার বিকালে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের উপর নির্মিত ‘সিস্টার হেলেন’ প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে দেশ। এদেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
কর্নেল (অব.) কামারুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশে শত প্রতিকূলতার মধ্যে নারীদের এগিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাদের চলার পথে অনেক কাঁটা থাকে। তাই সামনে কাঁটা দেখলে ভয় পেলে চলবে না। সেই কাঁটা মাড়িয়েই তাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন রানা বলেন, দেশে নারীদের চলার পথ মসৃণ নয়। সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কাজ করছেন আরেকজন নারী। তিনি মাদার তেরেসার মত পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবন ব্যয় করছেন। তাই আমরা আজ থেকে তাকে ‘সিস্টার হেলেন’ বলবো।
হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, একটা সময়ে তো নারী বাইরেই বের হতো না। কেবল ঘরের কাজ করত। বাইরে যাওয়া তার নিষেধ ছিল। এই সামাজিক বিধি নিষেধ ধীরে ধীরে কমেছে। আমার পরবর্তী সময়ে হয়তো আরও কমবে। নারীর সাফল্য, নারীর অগ্রগতি, সমাজ স্বীকার করতে চায় না। এটা আজ থেকে নয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটা হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। সমাজটা পুরুষশাসিত। ফলে একদিনে আপনি পরিবর্তন চাইলে হবে না। এবং পরিবর্তনে পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না যদি না নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি না হয়। নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমৃত্যু কাজ করতে চাই আমি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গড়বো বাংলাদেশের আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদা, লে. কর্ণেল (অব.) ফরিদুল আকবর, মেজর(অব.) জিল্লুর রহমান, হোসনে আরা ইদ্রিস প্রমুখ।