ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা রোগীদের নিয়ে গা শিউরে ওঠা তথ্য দিল সিঙ্গাপুর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
  • ২৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকটিয়াস ডিজিস (এনসিআইডি) এবং ডিএসও ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ এক গবেষণায় দেখেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা চারপাশকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে।

চলতি বছরের ৪ মার্চ অ্যামেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে সেই গবেষণার ফল প্রকাশ হয়। জানা গেছে, ওই গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীর ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা ২৪ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারেনটাইনে ছিলেন।

১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকা অবস্থায় পাঁচদিন তাদের বসবাসের ঘরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরিষ্কার করার পর দু’জনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে তৃতীয়জনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় নিয়মিত পরিষ্কারের আগে।

দেখা গেছে, পরিষ্কার না করা ঘরটিতে দূষণের মাত্রা বেশি ছিল। পরিষ্কার করার আগে তৃতীয় রোগীর ঘরের ১৫টি স্থানের মধ্যে ১৩ জায়গায় করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, তার ব্যবহারের চেয়ার, বিছানা, জানালা, মেঝে, লাইটের স্যুইচ, টেবিল, গ্লাস এবং লকারে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। তৃতীয়জনের ব্যবহারের টয়লেটে পাঁচ জায়গার মধ্যে তিন জায়গায় করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

গবেষকরা বলছেন, অন্য দু’জনের ঘরে পরিষ্কারের পর করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। দিনে অন্তত দু’বার তাদেরে ঘর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

করোনা রোগীদের নিয়ে গা শিউরে ওঠা তথ্য দিল সিঙ্গাপুর

আপডেট টাইম : ০১:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকটিয়াস ডিজিস (এনসিআইডি) এবং ডিএসও ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ এক গবেষণায় দেখেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা চারপাশকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে।

চলতি বছরের ৪ মার্চ অ্যামেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে সেই গবেষণার ফল প্রকাশ হয়। জানা গেছে, ওই গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীর ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা ২৪ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারেনটাইনে ছিলেন।

১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকা অবস্থায় পাঁচদিন তাদের বসবাসের ঘরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরিষ্কার করার পর দু’জনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে তৃতীয়জনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় নিয়মিত পরিষ্কারের আগে।

দেখা গেছে, পরিষ্কার না করা ঘরটিতে দূষণের মাত্রা বেশি ছিল। পরিষ্কার করার আগে তৃতীয় রোগীর ঘরের ১৫টি স্থানের মধ্যে ১৩ জায়গায় করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, তার ব্যবহারের চেয়ার, বিছানা, জানালা, মেঝে, লাইটের স্যুইচ, টেবিল, গ্লাস এবং লকারে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। তৃতীয়জনের ব্যবহারের টয়লেটে পাঁচ জায়গার মধ্যে তিন জায়গায় করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

গবেষকরা বলছেন, অন্য দু’জনের ঘরে পরিষ্কারের পর করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। দিনে অন্তত দু’বার তাদেরে ঘর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল।