ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • ২৬১ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছি। সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রই সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। ১৯৯০ সালের এ দিনে স্বৈরাচারের পতন হয়। দিনটিকে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন উল্লেখ করে গণতন্ত্রের এ মহান বিজয়ের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ সংগ্রাম-আন্দোলনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নুর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র। এ অর্জন ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। দেশবাসীর এই স্বতোঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপসহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে জীবনোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। -বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার আহ্বান

আপডেট টাইম : ১২:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছি। সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারও সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচার কাজ চলছে। কোনো ষড়যন্ত্রই সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না। ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। ১৯৯০ সালের এ দিনে স্বৈরাচারের পতন হয়। দিনটিকে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন উল্লেখ করে গণতন্ত্রের এ মহান বিজয়ের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘ সংগ্রাম-আন্দোলনে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। নুর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ, ডা. মিলনসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষ আত্মাহুতি দেন। স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় গণতন্ত্র। এ অর্জন ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। দেশবাসীর এই স্বতোঃপ্রণোদিত ত্যাগ ও অধিকার রক্ষায় আপসহীনতার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে জীবনোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। -বাসস