ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের ঝেজিয়াং থেকে বলছি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮ সালে ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে পাবলিক রিলেশন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাড়ি জমাই সুদূর চীনে।এখানে এসে ঝেজিয়াং প্রদেশের হুজহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ্যুয়াল আর্ট ডিজাইন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হই। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানেই অধ্যায়ন করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্ম কিংবা আবাসিক হলে থাকার সুযোগ হয়েছে। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে উহানের পরপরই এখন খুব সম্ভবত ঝেজিয়াংয়ের অবস্থান। তাই এই মুহূর্তে এখান দেশে ফেরার কথা চিন্তাও করছি না। দেশে ফিরতে হলে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্ম থেকে বের হতে হবে। এরপর ট্রেনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এয়ারপোর্টে যেতে হবে। সেখান থেকে আবার চীনেরই অন্য কোনো রাজ্য হয়ে বাংলাদেশে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্ত আশঙ্কা অনেক বেশি। আর এই ঝুঁকি এ সময় নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

২০১৯ সালের প্রায় শেষ দিকে চীনে, বিশেষ করে উহানে শনাক্ত করা হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে তখনো এটি এমন বিরাট আকার ধারণ করেনি। মূলত সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়তে শুরু করে চলতি বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখে চাইনিজ নতুন বর্ষ উদযাপনের কিছুদিন আগ থেকে। চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মোটামুটি ২২ জানুয়ারি থেকে ২৬ অথবা ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সব বন্ধ থাকে। বাংলাদেশের মতোই দেশজুড়ে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে থাকে। এ সময়ই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সংক্রমণস্থল চীনের উহান। দিন দিন বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। শহর ছেড়ে সরে যেতে শুরু করে এর বাসিন্দারা। যারা শহরের ভেতরে অবস্থান করছেন তারাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতার অংশ হিসেবে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় পুরো উহান। একরকম ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয় এখানে। তবে পড়াশোনা, গবেষণা আর ব্যবসায়ের কাজে উহানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সমপ্রতি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও তাদের অবরুদ্ধ থাকতে হবে বেশ কয়েকদিন।

এদিকে ঝেজিয়াংয়ের পরিস্থিতিও অনেকটা একই রকম। উহানের মতো পুরোপুরি অবরুদ্ধ না হলেও একরকম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখানে। শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা না হলেও কেউ বের হচ্ছেন না বাসা থেকে। সরকারি ছুটি হওয়ায় সড়ক কিংবা গণপরিবহনে লোকজনের আনাগোনা কম। শহরের দোকানপাটের বেশিরভাগই বন্ধ, কিংবা খুললেও খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখন। এই বাস্তবতায় আমি যেখানে আছি, সেখান থেকে উহানের দূরত্ব প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। সেখানকার অবস্থা এখন আরো খারাপ। করোনাভাইরাস সংক্রমণস্থল হওয়ায় পুরো শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রায় লোকশূন্য হয়ে পড়েছে এই শহর। আর যারা এখনো আছে, তাদের কেউ ঘর থেকে বেরই হচ্ছে না। দোকানপাট থেকে শুরু করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সবই বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এখানে ২৫ জানুয়ারি নতুন বর্ষ উদযাপনের পরই লকডাউন সম্পর্কে জানতে পারি। বুঝতে পারছিলাম না কী করব, এই পরিস্থিতি কতদিন ধরে চলবে কিংবা আমাকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদেরও ক্যাম্পাসের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ডর্ম থেকে বের হওয়া নিষেধ। বলা যায়, একরকম গৃহবন্দি আর কি। সেই সঙ্গে চলছে নিয়মিত চেকআপ। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজর রাখছিলাম। অনেকেই পর্যাপ্ত মাস্ক মজুদ করার পরামর্শ দিল।

এই মুহূর্তে দেশে ফেরার কথা চিন্তা করছি না। দেশে ফিরতে হলে অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে রওনা দিতে হবে। এ সময় ভাইরাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। এছাড়া এখান থেকে দেশে চলে গেলে, সেখানেও একটা অবরুদ্ধ জায়গায় থাকতে হবে। আর এর মধ্যে যদি সংক্রমিত হয়ে পড়ি তাহলে বাংলাদেশের এর চিকিত্সা কেমন হবে সেটা নিয়েও আমি খুব একটা নিশ্চিত নই। এদিকে এখানে নিয়মিত চেকআপ চলছে আমাদের সবার, যে কোনো অসুখ ধরা পড়লেই দেওয়া হচ্ছে চিকিত্সা। এ সময় এতোগুলো ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরার চেয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত ডর্মে থাকাটাই ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে এখনো কারো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও অবরুদ্ধ দশার মধ্যে তাদের খাবার ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। প্রতিটি মুহূর্ত তাদের কাটছে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় মধ্য চীনের উহান শহরে। নিউমোনিয়ার মতো প্রায় একই লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে চীনা। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায় উহানে সব ধরনের গণপরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকে শহর ছেড়ে গেলেও বাকিরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। চীনের বড় উত্সব চাইনিজ নিউ ইয়ারের ছুটির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ কম। ফলে খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যারা আগে থেকে খাবার সংগ্রহ করেছিলেন, তারা সাময়িকভাবে কিছুটা সুবিধা পেলেও শঙ্কামুক্ত থাকতে পারছেন না কেউই।

প্রথমদিকে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব না পেলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনা মহামারি আকার ধারণ করে। বর্তমানে উহান ছাড়িয়ে চীনের প্রায় সবগুলো প্রদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। ছোঁয়াচে ভাইরাস হওয়ায় সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনে এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রুগীর মৃত্যুর খবর মিলেছে, প্রদেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় ৯ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভুগছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। চীনের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের ঝেজিয়াং থেকে বলছি

আপডেট টাইম : ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮ সালে ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে পাবলিক রিলেশন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাড়ি জমাই সুদূর চীনে।এখানে এসে ঝেজিয়াং প্রদেশের হুজহু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ্যুয়াল আর্ট ডিজাইন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হই। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানেই অধ্যায়ন করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্ম কিংবা আবাসিক হলে থাকার সুযোগ হয়েছে। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে উহানের পরপরই এখন খুব সম্ভবত ঝেজিয়াংয়ের অবস্থান। তাই এই মুহূর্তে এখান দেশে ফেরার কথা চিন্তাও করছি না। দেশে ফিরতে হলে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্ম থেকে বের হতে হবে। এরপর ট্রেনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এয়ারপোর্টে যেতে হবে। সেখান থেকে আবার চীনেরই অন্য কোনো রাজ্য হয়ে বাংলাদেশে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্ত আশঙ্কা অনেক বেশি। আর এই ঝুঁকি এ সময় নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

২০১৯ সালের প্রায় শেষ দিকে চীনে, বিশেষ করে উহানে শনাক্ত করা হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে তখনো এটি এমন বিরাট আকার ধারণ করেনি। মূলত সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়তে শুরু করে চলতি বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখে চাইনিজ নতুন বর্ষ উদযাপনের কিছুদিন আগ থেকে। চীনা নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মোটামুটি ২২ জানুয়ারি থেকে ২৬ অথবা ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সব বন্ধ থাকে। বাংলাদেশের মতোই দেশজুড়ে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে থাকে। এ সময়ই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সংক্রমণস্থল চীনের উহান। দিন দিন বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। শহর ছেড়ে সরে যেতে শুরু করে এর বাসিন্দারা। যারা শহরের ভেতরে অবস্থান করছেন তারাও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতার অংশ হিসেবে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয় পুরো উহান। একরকম ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয় এখানে। তবে পড়াশোনা, গবেষণা আর ব্যবসায়ের কাজে উহানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সমপ্রতি বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও তাদের অবরুদ্ধ থাকতে হবে বেশ কয়েকদিন।

এদিকে ঝেজিয়াংয়ের পরিস্থিতিও অনেকটা একই রকম। উহানের মতো পুরোপুরি অবরুদ্ধ না হলেও একরকম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখানে। শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা না হলেও কেউ বের হচ্ছেন না বাসা থেকে। সরকারি ছুটি হওয়ায় সড়ক কিংবা গণপরিবহনে লোকজনের আনাগোনা কম। শহরের দোকানপাটের বেশিরভাগই বন্ধ, কিংবা খুললেও খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখন। এই বাস্তবতায় আমি যেখানে আছি, সেখান থেকে উহানের দূরত্ব প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। সেখানকার অবস্থা এখন আরো খারাপ। করোনাভাইরাস সংক্রমণস্থল হওয়ায় পুরো শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রায় লোকশূন্য হয়ে পড়েছে এই শহর। আর যারা এখনো আছে, তাদের কেউ ঘর থেকে বেরই হচ্ছে না। দোকানপাট থেকে শুরু করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত সবই বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এখানে ২৫ জানুয়ারি নতুন বর্ষ উদযাপনের পরই লকডাউন সম্পর্কে জানতে পারি। বুঝতে পারছিলাম না কী করব, এই পরিস্থিতি কতদিন ধরে চলবে কিংবা আমাকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদেরও ক্যাম্পাসের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ডর্ম থেকে বের হওয়া নিষেধ। বলা যায়, একরকম গৃহবন্দি আর কি। সেই সঙ্গে চলছে নিয়মিত চেকআপ। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজর রাখছিলাম। অনেকেই পর্যাপ্ত মাস্ক মজুদ করার পরামর্শ দিল।

এই মুহূর্তে দেশে ফেরার কথা চিন্তা করছি না। দেশে ফিরতে হলে অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে রওনা দিতে হবে। এ সময় ভাইরাসে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। এছাড়া এখান থেকে দেশে চলে গেলে, সেখানেও একটা অবরুদ্ধ জায়গায় থাকতে হবে। আর এর মধ্যে যদি সংক্রমিত হয়ে পড়ি তাহলে বাংলাদেশের এর চিকিত্সা কেমন হবে সেটা নিয়েও আমি খুব একটা নিশ্চিত নই। এদিকে এখানে নিয়মিত চেকআপ চলছে আমাদের সবার, যে কোনো অসুখ ধরা পড়লেই দেওয়া হচ্ছে চিকিত্সা। এ সময় এতোগুলো ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরার চেয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত ডর্মে থাকাটাই ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে এখনো কারো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও অবরুদ্ধ দশার মধ্যে তাদের খাবার ফুরিয়ে আসছে দ্রুত। প্রতিটি মুহূর্ত তাদের কাটছে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় মধ্য চীনের উহান শহরে। নিউমোনিয়ার মতো প্রায় একই লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে চীনা। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায় উহানে সব ধরনের গণপরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকে শহর ছেড়ে গেলেও বাকিরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। চীনের বড় উত্সব চাইনিজ নিউ ইয়ারের ছুটির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ কম। ফলে খাবার জোগাড় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যারা আগে থেকে খাবার সংগ্রহ করেছিলেন, তারা সাময়িকভাবে কিছুটা সুবিধা পেলেও শঙ্কামুক্ত থাকতে পারছেন না কেউই।

প্রথমদিকে ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব না পেলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনা মহামারি আকার ধারণ করে। বর্তমানে উহান ছাড়িয়ে চীনের প্রায় সবগুলো প্রদেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। ছোঁয়াচে ভাইরাস হওয়ায় সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ছে। চীনে এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রুগীর মৃত্যুর খবর মিলেছে, প্রদেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় ৯ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভুগছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। চীনের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জাপান, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে।