ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব অপরাধে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪৩৪ বার

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদকে যেসব অপরাধে ফাঁসি আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল। এরমধ্যে ৪টি অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

মানবতাবিরোধী ৪টি অভিযোগে হত্যা ও গণহত্যায় ফাঁসি হয়েছে তা হলো- ৩ নং অভিযোগে গহিরা শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নতুন চন্দ্র সিংহ হত্য, ৫ নং অভিযোগে সুলতানপুরে শ্রী নেপাল চন্দ্র ও তিনজনকে হত্যা, ৬নং অভিযোগে ঊনসত্তর পাড়ায় ৬৯/৭০জনকে গণহত্যা এবং ৮নং অভিযোগে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহমদ ও তার পুত্র আলমগীরকে হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।

আলী আহসান মুজাহিদ

জামায়াতের শীর্ষ নেতা আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, নিযার্তনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সাতটির অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইবুনালে আনিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগে মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে ১ নম্বর অভিযোগকে ৬ নম্বর অভিযোগের সঙ্গে সমন্বিত করে দু’টি অভিযোগের একসঙ্গে রায় দেওয়া হয়।

প্রথম অভিযোগে শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হত্যার ঘটনায়ও তার সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায় ছিল বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে। ৭ নম্বর অভিযোগে ছিল, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব অপরাধে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি

আপডেট টাইম : ১১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদকে যেসব অপরাধে ফাঁসি আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল। এরমধ্যে ৪টি অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

মানবতাবিরোধী ৪টি অভিযোগে হত্যা ও গণহত্যায় ফাঁসি হয়েছে তা হলো- ৩ নং অভিযোগে গহিরা শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নতুন চন্দ্র সিংহ হত্য, ৫ নং অভিযোগে সুলতানপুরে শ্রী নেপাল চন্দ্র ও তিনজনকে হত্যা, ৬নং অভিযোগে ঊনসত্তর পাড়ায় ৬৯/৭০জনকে গণহত্যা এবং ৮নং অভিযোগে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহমদ ও তার পুত্র আলমগীরকে হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।

আলী আহসান মুজাহিদ

জামায়াতের শীর্ষ নেতা আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, নিযার্তনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে যে সাতটির অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইবুনালে আনিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে ৬ ও ৭ নম্বর অভিযোগে মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে ১ নম্বর অভিযোগকে ৬ নম্বর অভিযোগের সঙ্গে সমন্বিত করে দু’টি অভিযোগের একসঙ্গে রায় দেওয়া হয়।

প্রথম অভিযোগে শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হত্যার ঘটনায়ও তার সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায় ছিল বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে। ৭ নম্বর অভিযোগে ছিল, ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।