ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বৈধপথে স্বজনের কাছে অর্থ পাঠানোর আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈধপথে স্বজনের কাছে অর্থ দেশে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান কনসাল জেনারেল। ‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুই মেলে’ স্লোগানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে কনস্যুলেটে আসা সেবাপ্রার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, ‘বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীরা পাচ্ছেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস। সোনালী এক্সচেঞ্জসহ বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর শতকরা ২ ভাগ হারে বোনাস দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য ফি-এর পরিমাণ অনেক আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডলারের মূল্যমানও পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে রেমিটেন্সের প্রবাহে গতি আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে।’

সাদিয়া ফয়জুননেসা আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের সেবা প্রদানে আমরা মাঝে মধ্যেই দূরবর্তী অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট ক্যাম্প করছি। সেবার ক্ষেত্র অবারিত করতে টেলিফোন সার্ভিসকে সারাক্ষণ ওপেন রাখা হচ্ছে। মেসেজ রাখলে তার জবাব দেওয়া হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এসব সেবার পরিধি বিস্তৃত করতে বাংলাদেশি-আমেরিকানরাও সহায়তা দিচ্ছেন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে জাতিসংঘে অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট বিষয়ক প্রথম প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয়দানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী যে মানবিক উদারতার পরিচয় দিয়েছেন, তার ফলশ্রুতিতে আজ বিশ্বের বুকে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গারা যেন তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে, সেজন্য অভিবাসীদেরকে প্রচারণা চালানোর জন্য কনসাল জেনারেল অনুরোধ করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর আয়েশা হকের সঞ্চালনায় রেমিটেন্সবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেকিল চৌধুরী, সোনালী এক্সচেঞ্জের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও সিইও দেবশ্রী মিত্র, রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, ডা. মাসুদুল হাসান প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, অধ্যাপিতা হুসনে আরা বেগম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। সেখানে সাইবার স্পেসে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে তথ্য আপলোড বা শেয়ারের নেতিবাচক বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

রেমিটেন্সবিষয়ক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন সোনালী একচেঞ্জ, সানম্যান গ্রুপ, প্ল্যাসিড, রূপালী এক্সচেঞ্জসহ বেশকয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের মাধ্যমে পাঠানো শীর্ষ রেমিটারদের সার্টিফিকেট ও পুরস্কৃত করা হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে প্রায় ৩’শ অভিবাসী কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করেন। তারা কনস্যুলেটের এ ধরণের আয়োজনে অভিভূত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বৈধপথে স্বজনের কাছে অর্থ পাঠানোর আহ্বান

আপডেট টাইম : ০৮:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈধপথে স্বজনের কাছে অর্থ দেশে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান কনসাল জেনারেল। ‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুই মেলে’ স্লোগানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতে কনস্যুলেটে আসা সেবাপ্রার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, ‘বিনিয়োগে আগ্রহী প্রবাসীরা পাচ্ছেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস। সোনালী এক্সচেঞ্জসহ বৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর শতকরা ২ ভাগ হারে বোনাস দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য ফি-এর পরিমাণ অনেক আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডলারের মূল্যমানও পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে রেমিটেন্সের প্রবাহে গতি আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে।’

সাদিয়া ফয়জুননেসা আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের সেবা প্রদানে আমরা মাঝে মধ্যেই দূরবর্তী অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট ক্যাম্প করছি। সেবার ক্ষেত্র অবারিত করতে টেলিফোন সার্ভিসকে সারাক্ষণ ওপেন রাখা হচ্ছে। মেসেজ রাখলে তার জবাব দেওয়া হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। এসব সেবার পরিধি বিস্তৃত করতে বাংলাদেশি-আমেরিকানরাও সহায়তা দিচ্ছেন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে জাতিসংঘে অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট বিষয়ক প্রথম প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয়দানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী যে মানবিক উদারতার পরিচয় দিয়েছেন, তার ফলশ্রুতিতে আজ বিশ্বের বুকে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গারা যেন তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে, সেজন্য অভিবাসীদেরকে প্রচারণা চালানোর জন্য কনসাল জেনারেল অনুরোধ করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর আয়েশা হকের সঞ্চালনায় রেমিটেন্সবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেকিল চৌধুরী, সোনালী এক্সচেঞ্জের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও সিইও দেবশ্রী মিত্র, রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, ডা. মাসুদুল হাসান প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, অধ্যাপিতা হুসনে আরা বেগম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। সেখানে সাইবার স্পেসে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে তথ্য আপলোড বা শেয়ারের নেতিবাচক বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

রেমিটেন্সবিষয়ক আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন সোনালী একচেঞ্জ, সানম্যান গ্রুপ, প্ল্যাসিড, রূপালী এক্সচেঞ্জসহ বেশকয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের মাধ্যমে পাঠানো শীর্ষ রেমিটারদের সার্টিফিকেট ও পুরস্কৃত করা হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে প্রায় ৩’শ অভিবাসী কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করেন। তারা কনস্যুলেটের এ ধরণের আয়োজনে অভিভূত হন।