ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৬৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বের বয়স্কতম নারী তানজিলিয়া বিসেম্ববেয়াভা আর নেই। দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২৬ অক্টোবর তাকে সমাধিস্থ করা হয়। ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চে তানজিলিয়ার জন্ম। উনবিংশ, বিংশ, একবিংশ- তিনটি শতাব্দীই দেখেছেন তিনি।

তবে, জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তানজিলিয়া। তার পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনওদিনই সেভাবে মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তিনি। ১২৩ বছর বয়সেও রোজ নিজের কাজ নিজেই সেরেছেন তানজিলিয়া।

তার এই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর রহস্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তানজিলিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, তানজিলিয়া সবসময় কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকতেন। কেউ তাকে একটানা শুয়ে-বসে থাকতে দেখেনি কখনও। তবে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করে বলে মনে করেন তারা।

শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতেন তানজিলিয়া। তার মধ্যে প্রথমটি হল সবরকম নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকা। খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়, কেবলমাত্র টাটকা, বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন তিনি। তার সঙ্গে দক্ষিণ রাশিয়ার জনপ্রিয় পানীয় ফার্মেন্টেড দুধও পছন্দ করতেন তানজিলিয়া।

তানজিলিয়ার কর্মজীবনও ছিল বেশ লম্বা। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশ কিছু বছর কাজ করেন তিনি। তার জন্য পান বিশেষ স্বীকৃতিও।

২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি, ১৩ জন প্রপৌত্র নিয়ে সুখে সংসার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি নারী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন

আপডেট টাইম : ১১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বের বয়স্কতম নারী তানজিলিয়া বিসেম্ববেয়াভা আর নেই। দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২৬ অক্টোবর তাকে সমাধিস্থ করা হয়। ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চে তানজিলিয়ার জন্ম। উনবিংশ, বিংশ, একবিংশ- তিনটি শতাব্দীই দেখেছেন তিনি।

তবে, জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তানজিলিয়া। তার পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনওদিনই সেভাবে মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তিনি। ১২৩ বছর বয়সেও রোজ নিজের কাজ নিজেই সেরেছেন তানজিলিয়া।

তার এই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর রহস্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তানজিলিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলেন, তানজিলিয়া সবসময় কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকতেন। কেউ তাকে একটানা শুয়ে-বসে থাকতে দেখেনি কখনও। তবে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করে বলে মনে করেন তারা।

শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতেন তানজিলিয়া। তার মধ্যে প্রথমটি হল সবরকম নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকা। খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়, কেবলমাত্র টাটকা, বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন তিনি। তার সঙ্গে দক্ষিণ রাশিয়ার জনপ্রিয় পানীয় ফার্মেন্টেড দুধও পছন্দ করতেন তানজিলিয়া।

তানজিলিয়ার কর্মজীবনও ছিল বেশ লম্বা। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশ কিছু বছর কাজ করেন তিনি। তার জন্য পান বিশেষ স্বীকৃতিও।

২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি, ১৩ জন প্রপৌত্র নিয়ে সুখে সংসার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি নারী।