ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর শাহ আলমের নেতৃত্বে মনফর আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেট মেট্রোপলিটন জালালাবাদ থানার পুলিশের অভিযানে অস্ত্র ও গুলি সহ মনফর আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার। গত ১১ তারিখ  এসএমপি’র জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহ আলমের নেতৃত্বে ইসলামগঞ্জ বাজার থেকে  সিলেট সদর উপজেলার ১ নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মনফর আলীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগজিন ভর্তি ০৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র-সন্ত্রাস, রাহাজানি চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, নারী অপহরণ, ধর্ষণ, পুলিশ আক্রান্ত ও পুলিশের উপর একাধিকবার গুলিবর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানায় ০৩টি মামলা  জালালাবাদ থানায় ০৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে । জালালাবাদ থানায় ০৪টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সিলেট সদরের চেঙ্গেরখাল নদীতে পাথরবাহী বিভিন্ন নৌযানে চাঁদাবাজি করে । প্রতিরোধ করতে পুলিশ গেলে জালালাবাদের খাশরগাও এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মনফরের সন্ত্রাসীদল। পরবর্তীতে এ বছরের ২৫ জুলাই একটি মামলায় তার সহযোগীকে ধরতে গেলে আবারো পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করেন । এ সময় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। চেয়ারম্যান ও তার ভাই আনফর আলীসহ ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে জালালাবাদ থানাধীন চেঙ্গেরখাল নদী দিয়ে চলাচলকারী পাথরবাহী ও বালুবাহী নৌযান হতে ১০০০/১৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে । নদীতে চলাচলরত নৌযানকে মনগড়া রশিদ দিচ্ছে, কোন কোন নৌযানকে রশীদ দেওয়া ছাড়াই জোর পূর্বক আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে।  চাঁদাবাজী বন্ধে জালালাবাদ থানা পুলিশ কর্তৃক একাধিকবার চেঙ্গেরখাল নদীতে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থানা হতে অনেক দূরবর্তী ও যাতায়াত ব্যবস্থা দূর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই অপরাধীরা পালিয়ে যায় ।  উক্ত আসামীদ্বয় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে প্রকাশ করে যে, ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনফর আলী তার বসতবাড়ীতে রাত্রীবেলা ভাড়াটিয়া কারিগর দ্বারা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরী করে। তৈরীকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নদীতে চলাচলরত পাথরবাহী ও বালুবাহী নৌযানের লেবার ও মালিকপক্ষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক ৬০/৭০ হাজার টাকা চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তারা।  মামলা সমূহে গ্রেফতারকৃত আসামী মনফর চেয়ারম্যান এর চাঁদাবাজী ও অস্ত্র তৈরীর কারখানা সম্পর্কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। তার এ ধরণের কার্যকলাপে সাধারণ জনগণ অতিষ্ট হয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর শাহ আলমের নেতৃত্বে মনফর আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেট মেট্রোপলিটন জালালাবাদ থানার পুলিশের অভিযানে অস্ত্র ও গুলি সহ মনফর আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার। গত ১১ তারিখ  এসএমপি’র জালালাবাদ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহ আলমের নেতৃত্বে ইসলামগঞ্জ বাজার থেকে  সিলেট সদর উপজেলার ১ নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মনফর আলীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগজিন ভর্তি ০৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র-সন্ত্রাস, রাহাজানি চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, নারী অপহরণ, ধর্ষণ, পুলিশ আক্রান্ত ও পুলিশের উপর একাধিকবার গুলিবর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানায় ০৩টি মামলা  জালালাবাদ থানায় ০৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে । জালালাবাদ থানায় ০৪টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সিলেট সদরের চেঙ্গেরখাল নদীতে পাথরবাহী বিভিন্ন নৌযানে চাঁদাবাজি করে । প্রতিরোধ করতে পুলিশ গেলে জালালাবাদের খাশরগাও এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মনফরের সন্ত্রাসীদল। পরবর্তীতে এ বছরের ২৫ জুলাই একটি মামলায় তার সহযোগীকে ধরতে গেলে আবারো পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করেন । এ সময় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। চেয়ারম্যান ও তার ভাই আনফর আলীসহ ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে জালালাবাদ থানাধীন চেঙ্গেরখাল নদী দিয়ে চলাচলকারী পাথরবাহী ও বালুবাহী নৌযান হতে ১০০০/১৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে । নদীতে চলাচলরত নৌযানকে মনগড়া রশিদ দিচ্ছে, কোন কোন নৌযানকে রশীদ দেওয়া ছাড়াই জোর পূর্বক আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে।  চাঁদাবাজী বন্ধে জালালাবাদ থানা পুলিশ কর্তৃক একাধিকবার চেঙ্গেরখাল নদীতে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থানা হতে অনেক দূরবর্তী ও যাতায়াত ব্যবস্থা দূর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই অপরাধীরা পালিয়ে যায় ।  উক্ত আসামীদ্বয় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে প্রকাশ করে যে, ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনফর আলী তার বসতবাড়ীতে রাত্রীবেলা ভাড়াটিয়া কারিগর দ্বারা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরী করে। তৈরীকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নদীতে চলাচলরত পাথরবাহী ও বালুবাহী নৌযানের লেবার ও মালিকপক্ষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দৈনিক ৬০/৭০ হাজার টাকা চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তারা।  মামলা সমূহে গ্রেফতারকৃত আসামী মনফর চেয়ারম্যান এর চাঁদাবাজী ও অস্ত্র তৈরীর কারখানা সম্পর্কে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। তার এ ধরণের কার্যকলাপে সাধারণ জনগণ অতিষ্ট হয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।