বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যু নিয়ে চালানো এক জরিপে একথা বলা হয়।
গবেষকরা চিলি থেকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের আশেপাশের ১৩টি দেশে ১৯৮৫ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মারা যাওয়া সাত কোটি ৪০ লাখ লোকের ওপর গবেষণা চালান। উল্লেখ্য, বিশ্বের এই ১৩টি দেশের জলবায়ুর তারতম্য অনেক বেশি।
গবেষকরা তাপমাত্রার সাথে এসব লোকের মৃত্যুর কারণ মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে তারা মৃত্যুর কারণের সঙ্গে যুক্ত আদ্রতা ও বায়ু দূষণের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রাজনিত পরিবর্তনের কারণে মোট মৃত্যুর হার দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ লোক মারা যায় ঠা-াজনিত আবহাওয়ার কারণে। মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ লোকের মৃত্যু হয় গরমের কারণে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রধান লেখক এন্তোনিও বলেন, ‘ আগে প্রায়ই মনে করা হতো চরম আবহাওয়ার কারণেই অধিকাংশ লোকের মৃত্যু ঘটে। ফলে আগের গবেষণায় অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার কার্যকারিতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। কিন্তু আবহাওয়াজনিত মৃত্যুর ব্যাপক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি, এসব মৃত্যুর অধিকাংশ ঘটে মাঝারি মানের গরম ও শীতের দিনে। তবে অধিকাংশ লোকের মৃত্যু ঘটে মাঝারি মানের শীতে।