ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

খাগড়াছড়িতে স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৬৯ বার

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাগড়াছড়িতে স্ত্রী ও ছয় মাসের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মো. ছাবের আলী (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে ছাবের আলীর বাবা মো. মাহবুব আলী (৫৪) ও মা রেনু আরা বেগমকে (৪৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার অপর আসামি ছাবের আলীর ছোট ভাই মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন। রায় ঘাষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ খাগড়াছড়ির গুইমারার বড়পিলাক এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (২২) ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ও ৬ মাসের শিশু সন্তান রেদোয়ানকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর নিহত মাজেদা বেগমের বাবা মো. সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ছাবের আলী, তার বাবা মাহবুব আলী, মা রেনু আরা বেগম ও ভাই শাহজাহানকে আসামি করে গুইমারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মিলে মাজেদা বেগমকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল।

মামলা চলাকালীন সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করে। মামলার প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মাজেদা বেগমের স্বজনরাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

খাগড়াছড়িতে স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 হাওর বার্তা ডেস্কঃ খাগড়াছড়িতে স্ত্রী ও ছয় মাসের শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মো. ছাবের আলী (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে ছাবের আলীর বাবা মো. মাহবুব আলী (৫৪) ও মা রেনু আরা বেগমকে (৪৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মামলার অপর আসামি ছাবের আলীর ছোট ভাই মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন। রায় ঘাষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ খাগড়াছড়ির গুইমারার বড়পিলাক এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (২২) ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ও ৬ মাসের শিশু সন্তান রেদোয়ানকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পর নিহত মাজেদা বেগমের বাবা মো. সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ছাবের আলী, তার বাবা মাহবুব আলী, মা রেনু আরা বেগম ও ভাই শাহজাহানকে আসামি করে গুইমারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মিলে মাজেদা বেগমকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল।

মামলা চলাকালীন সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করে। মামলার প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মাজেদা বেগমের স্বজনরাও।