হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গত শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই বাংলাদেশীর মৃতদেহ দেশে আনা হয়েছে। রোববার সকালে ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল বর্হিগমনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত শুক্রবার কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মইনুল আলম যশোরের ঝিনাইদহের বাসিন্দা ও গ্রামীণ ফোন কোম্পানির কর্মকর্তা। গ্রামীণ ফোনে কাজ করার সূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তানিয়া ঢাকায় সিটি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ম্যানেজার ছিলেন বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
আহত কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জিয়াদ জানান, ১৪ তারিখে ডাক্তার দেখাতে তারা ভারতে যায়। কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখিয়ে ১৬ আগস্ট রাতের খাবার খাওয়ার জন্য শেক্সপিয়ার সরণীর চৌরাস্তার মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দ্রুত গতিতে বিপরীত মুখি থেকে আসা জাগুয়ার কোম্পানির একটি গাড়ী মইনুল আলম ও ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যায়। এসময় তিনি একটু দুরে থাকায় প্রাণে বেচে গেছেন। ভারতের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ সকালে লাশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন তারা।
চোখের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গত ১৪ আগস্ট বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যায় মইনুল আলম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর চাচাতো বোন ফারহানা ইসলাম তানিয়া এবং ফুপাতো ভাই কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জিয়াদ। নিহত মইনুল আলম মাঝে মাঝে ভারতে যেতেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু, এ বার আর দেশে ফেরা হল না। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের মইনুল ও তানিয়ার। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচেছেন ফুপাতো ভাই কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জিয়াদ।