ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ইলিশের আমদানি বাড়লেও কমেনি দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোরবানির ঈদের তিনদিন পর থেকেই বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনও কমেনি দাম। বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নদী ও সাগর থেকে জেলেদের আমদানি করা ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরীর পোর্টরোডস্থ একমাত্র বেসরকারী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

ফলে ফিশিংবোট, বরফকল থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যন্ত শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। একইসাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা, জেলে আর শ্রমিকদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

তবে ইলিশের আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনও দাম কমেনি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। মোকাম মালিকরা জানান, কোরবানির ঈদের পরেরদিন থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের হিড়িক পরেছে।

তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ভোজের জন্য ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুচরা বিক্রেতারা দাম কমায়নি। তবে মোকামে ইলিশের দাম অনেকটাই হাতের নাগালে রয়েছে। ক্রেতারা জানান, কোরবানীর ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা এখনও অনেকটাই ফাঁকা।

তাই ঢাকায় তেমন মাছের চাহিদা নেই। আর চলতি মৌসুমের এ সময়টা এমনিতেই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে। তাই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অবতরণ কেন্দ্র ও মৎস্য আড়তগুলোতে ইলিশের চাঁপ বাড়লেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাননি।

তবে ক্রেতাদের এ অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের ওপর চাঁপিয়ে দিয়ে পোর্ট রোডের মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে ঢাকা ও চাঁদপুরে ইলিশের চাহিদা কমে গেছে।

আবার নীচের দিকে অর্থাৎ আলীপুর ও মহিপুরে ইলিশের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় সেখানে দর পরে গেছে। ফলে বেশি দাম পাওয়ার আশায় বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নদী ও সাগরের ইলিশ নিয়ে ছুটে আসছেন জেলেরা।

গতকাল সকালে পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদের আগে ভেলকা সাইজের প্রতিমন ইলিশ ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৯ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এলসি সাইজেল ইলিশ ঈদের আগে মনপ্রতি ৪৬ থেকে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন ৪১ থেকে ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ মনপ্রতি ৫৩ থেকে ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪৯ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মোকাম মালিকরা বলেন, কোরবানির ঈদের পরেরদিন থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের হিড়িক পরেছে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ভোজের জন্য ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুচরা বাজারে এখন দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখি।

তবে মোকামে ইলিশের দাম অনেকটাই ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। তারা আরও বলেন, নদী ও সাগরে ইলিশ শিকার অব্যাহত থাকলে আগামি ৩/৪দিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও ইলিশের দাম কমে আসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে ইলিশের আমদানি বাড়লেও কমেনি দাম

আপডেট টাইম : ১০:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোরবানির ঈদের তিনদিন পর থেকেই বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনও কমেনি দাম। বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত নদী ও সাগর থেকে জেলেদের আমদানি করা ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশাল নগরীর পোর্টরোডস্থ একমাত্র বেসরকারী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

ফলে ফিশিংবোট, বরফকল থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যন্ত শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। একইসাথে ক্রেতা ও বিক্রেতা, জেলে আর শ্রমিকদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র।

তবে ইলিশের আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারে এখনও দাম কমেনি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। মোকাম মালিকরা জানান, কোরবানির ঈদের পরেরদিন থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের হিড়িক পরেছে।

তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ভোজের জন্য ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুচরা বিক্রেতারা দাম কমায়নি। তবে মোকামে ইলিশের দাম অনেকটাই হাতের নাগালে রয়েছে। ক্রেতারা জানান, কোরবানীর ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা এখনও অনেকটাই ফাঁকা।

তাই ঢাকায় তেমন মাছের চাহিদা নেই। আর চলতি মৌসুমের এ সময়টা এমনিতেই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পরছে। তাই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অবতরণ কেন্দ্র ও মৎস্য আড়তগুলোতে ইলিশের চাঁপ বাড়লেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাননি।

তবে ক্রেতাদের এ অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের ওপর চাঁপিয়ে দিয়ে পোর্ট রোডের মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে ঢাকা ও চাঁদপুরে ইলিশের চাহিদা কমে গেছে।

আবার নীচের দিকে অর্থাৎ আলীপুর ও মহিপুরে ইলিশের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় সেখানে দর পরে গেছে। ফলে বেশি দাম পাওয়ার আশায় বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নদী ও সাগরের ইলিশ নিয়ে ছুটে আসছেন জেলেরা।

গতকাল সকালে পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদের আগে ভেলকা সাইজের প্রতিমন ইলিশ ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৯ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এলসি সাইজেল ইলিশ ঈদের আগে মনপ্রতি ৪৬ থেকে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন ৪১ থেকে ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ মনপ্রতি ৫৩ থেকে ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪৯ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মোকাম মালিকরা বলেন, কোরবানির ঈদের পরেরদিন থেকে জেলাজুড়ে বিয়ের হিড়িক পরেছে। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ভোজের জন্য ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুচরা বাজারে এখন দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখি।

তবে মোকামে ইলিশের দাম অনেকটাই ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। তারা আরও বলেন, নদী ও সাগরে ইলিশ শিকার অব্যাহত থাকলে আগামি ৩/৪দিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও ইলিশের দাম কমে আসবে।