ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে পড়েছে ৪ লাখ মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুর ইসলামপুরে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় জামালপুরের সঙ্গে বকশীগঞ্জসহ রাজীবপুর-রৌমারীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকা থেকে আসা ঘরমুখো মানুষ।

মঙ্গলবার (১৩ আগেস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি সেতু পার হওয়ার সেতুর দুটি স্প্যান ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় ভ্যানে থাকা চালকসহ পাঁচজন যাত্রী সবাই প্রায় ৩০ ফুট পানির নিচে পড়ে যায়। পরে তারা সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইসমাইল হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিজটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তখন ৪/৫ জনকে পানিতে পড়তেও দেখা যায়। তবে তারা তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।

ওই এলাকার বাসিন্দা সোয়েব মিয়া জানান, ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির অ্যাপ্রোচেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেলে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেতুটির মেরামতও করা হয়। কিন্তু অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেলেও সেদিকে নজর দেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রিত সেতুটি নির্মাণ হয় ৬০ এর দশকে। এই সেতু নির্মাণ সর্ম্পকিত কোনো তথ্য-উপাত্ত তার অফিসে নেই। তবে সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু করার জন্য ইতোমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে ওই স্থানেই একটি নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে পড়েছে ৪ লাখ মানুষ

আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুর ইসলামপুরে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় জামালপুরের সঙ্গে বকশীগঞ্জসহ রাজীবপুর-রৌমারীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ঢাকা থেকে আসা ঘরমুখো মানুষ।

মঙ্গলবার (১৩ আগেস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানগাড়ি সেতু পার হওয়ার সেতুর দুটি স্প্যান ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় ভ্যানে থাকা চালকসহ পাঁচজন যাত্রী সবাই প্রায় ৩০ ফুট পানির নিচে পড়ে যায়। পরে তারা সাঁতার কেটে তীরে উঠে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইসমাইল হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রিজটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তখন ৪/৫ জনকে পানিতে পড়তেও দেখা যায়। তবে তারা তীরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।

ওই এলাকার বাসিন্দা সোয়েব মিয়া জানান, ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির অ্যাপ্রোচেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেলে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেতুটির মেরামতও করা হয়। কিন্তু অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেলেও সেদিকে নজর দেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রিত সেতুটি নির্মাণ হয় ৬০ এর দশকে। এই সেতু নির্মাণ সর্ম্পকিত কোনো তথ্য-উপাত্ত তার অফিসে নেই। তবে সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু করার জন্য ইতোমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে ওই স্থানেই একটি নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।