ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিনিটে একজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী কোনো না কোনো হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতি মিনিটে একজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী বাংলাদেশের কোনো না কোনো হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে (আগস্ট) দিনে গড়ে ১ হাজার ৬৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অর্থাৎ, ঘণ্টায় ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগস্টের প্রথম তিন দিনে ঢাকার ৩৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং আটটি বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব রোগী ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাবে, গতকাল শনিবার নতুন ১ হাজার ৬৪৯ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো একটি বিশেষ রোগে আগে এত রোগীর চাপ দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোয়।

সরকারি হাসপাতালগুলোর একটি বাড়তি সুবিধা হলো, তারা শয্যার বাইরে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করতে পারে। এই সুবিধা বেসরকারি হাসপাতালে নেই।

সরকার বলছে, ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে অন্তত ২৬টি জেলায় আড়াই শতাধিক রোগী স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর অর্থ, এসব জেলায় এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাবে, ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ৯১৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৮ জন। আর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবং প্রথম আলোর হিসাবে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭৪ জন।

সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষকেরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মিনিটে একজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী কোনো না কোনো হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৯:৫৮:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতি মিনিটে একজনের বেশি ডেঙ্গু রোগী বাংলাদেশের কোনো না কোনো হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে (আগস্ট) দিনে গড়ে ১ হাজার ৬৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অর্থাৎ, ঘণ্টায় ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগস্টের প্রথম তিন দিনে ঢাকার ৩৫টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং আটটি বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব রোগী ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাবে, গতকাল শনিবার নতুন ১ হাজার ৬৪৯ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো একটি বিশেষ রোগে আগে এত রোগীর চাপ দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোয়।

সরকারি হাসপাতালগুলোর একটি বাড়তি সুবিধা হলো, তারা শয্যার বাইরে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করতে পারে। এই সুবিধা বেসরকারি হাসপাতালে নেই।

সরকার বলছে, ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঢাকার বাইরে অন্তত ২৬টি জেলায় আড়াই শতাধিক রোগী স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর অর্থ, এসব জেলায় এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাবে, ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ৯১৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৮ জন। আর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবং প্রথম আলোর হিসাবে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭৪ জন।

সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি গবেষকেরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।