হাওর বার্তা ডেস্কঃ মশা নিধনে গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির প্রচলন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে মোটরসাইকেলে মশকনিধন যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে কম সময়ে অধিক এলাকায় মশা দমন করা যাবে বলে আশা করছেন উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান-২ নং চত্বরে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা উদ্বুদ্ধকরণ অভিযানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি মশক নিধনযন্ত্রযুক্ত মোটরসাইকেল এবং এর পরিচালনা দেখেন।
বেলা ১১টায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন উত্তরের মেয়র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘আমরা সকলেই নাগরিক। কিন্তু কখনো প্রশ্ন করেছি যে আমরা কতজন সুনাগরিক?’
‘আমাদের সুনাগরিক হতে হবে। এ দেশ আমাদের সকলের, ঢাকা আমাদের সকলের, ঢাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও আমাদের।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিভিন্ন নাগরিক সেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আবিষ্কার, গবেষণার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি উদাহরণস্বরূপ বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থী যদি প্রত্যেকে ১০ জনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে এবং এটি একটি চেইনে চলতে থাকে তবে সেটি অবশ্যই একটি বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
ঘুমানোর সময়ে সবাইকে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ এবং সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই মশারির ভেতর রাখতে নির্দেশ দেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষ গবেষক প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শুধু বর্ষাকাল নয় বরং বছরে ৩৬৫ দিন মশা নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার ও দক্ষ গবেষক তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।’
এর আগে সকালে উত্তরা রাজলক্ষী কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় নিজ নিজ বাসাবাড়ি, অফিস ও এলাকা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘নগরবাসীকে এডিস মশা নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে স্বতঃস্ফুর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি সেখানে ডেঙ্গু জনসচেতনামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করেন।