ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলগেটে ৪ মিনিটের সাক্ষাৎ, মিন্নি বললেন ‘বাঁচব না বাবা’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
  • ২১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে শনিবার জেলগেটে দেখা করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। ব্যাপক নজরদারির মাঝে মা-মেয়ের মধ্যে কথা হয়েছে মাত্র ৪ মিনিট।

মেয়ের সঙ্গে মাত্র ৪ মিনিট কথা বলতে পেরে ক্ষুব্ধ তার বাবা। তিনি বলেন, ‘মিন্নি কয়, আব্বু, আমি আর বাঁচব না।’ এ সময় কিশোরের সঙ্গে ছিলেন মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, চাচা মহিউদ্দিন দুলাল ও আবু সালেহ।

মেয়ের সাথে কথা বলার মিন্নির বাবা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। মেয়েকে দেখে চিনতে পারিনি। আমার মেয়ের দিক চাওন যায় না। মেয়ের সঙ্গে একটু কথা কমু তাও পারি না।

গোয়েন্দারা গায়ের সঙ্গে দাঁড়াইয়া থাকে। মিনিট চারেক কথা কইয়া রাগ করিয়া চইলা আসি। মিন্নি কয়, ‘আব্বু আমি আর বাঁচব না।’ আমার সন্দেহ, আমার মাইয়াডারে জীবিত বাইর করতে পারুম কিনা জানি না।’

কিশোর বলেন, ‘মিন্নি একেবারে কাহিল হইয়া গেছে। ও বলেছে, তার মাথায় ও বুকে ব্যথা। সারা শরীরে ব্যথা। মিন্নি খুবই দুর্বল।’

মিন্নির কী হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কিশোর বলেন, ‘আপনারা বোঝেন না? রিমান্ডে নিয়ে কী করে। কেন আমার মেয়ের শরীরে ব্যথা হয়েছে। খালি খালি কি ব্যথা হতে পারে। তিনি বলেন, মিন্নি কিছু আমাকে বলতে চায়। কিন্তু গোয়েন্দা দাঁড়াইয়া থাকে, তাদের জন্য কিছু বলতে পারে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জেলগেটে ৪ মিনিটের সাক্ষাৎ, মিন্নি বললেন ‘বাঁচব না বাবা’

আপডেট টাইম : ১১:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে শনিবার জেলগেটে দেখা করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। ব্যাপক নজরদারির মাঝে মা-মেয়ের মধ্যে কথা হয়েছে মাত্র ৪ মিনিট।

মেয়ের সঙ্গে মাত্র ৪ মিনিট কথা বলতে পেরে ক্ষুব্ধ তার বাবা। তিনি বলেন, ‘মিন্নি কয়, আব্বু, আমি আর বাঁচব না।’ এ সময় কিশোরের সঙ্গে ছিলেন মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, চাচা মহিউদ্দিন দুলাল ও আবু সালেহ।

মেয়ের সাথে কথা বলার মিন্নির বাবা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার মেয়ে খুবই অসুস্থ। মেয়েকে দেখে চিনতে পারিনি। আমার মেয়ের দিক চাওন যায় না। মেয়ের সঙ্গে একটু কথা কমু তাও পারি না।

গোয়েন্দারা গায়ের সঙ্গে দাঁড়াইয়া থাকে। মিনিট চারেক কথা কইয়া রাগ করিয়া চইলা আসি। মিন্নি কয়, ‘আব্বু আমি আর বাঁচব না।’ আমার সন্দেহ, আমার মাইয়াডারে জীবিত বাইর করতে পারুম কিনা জানি না।’

কিশোর বলেন, ‘মিন্নি একেবারে কাহিল হইয়া গেছে। ও বলেছে, তার মাথায় ও বুকে ব্যথা। সারা শরীরে ব্যথা। মিন্নি খুবই দুর্বল।’

মিন্নির কী হয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে কিশোর বলেন, ‘আপনারা বোঝেন না? রিমান্ডে নিয়ে কী করে। কেন আমার মেয়ের শরীরে ব্যথা হয়েছে। খালি খালি কি ব্যথা হতে পারে। তিনি বলেন, মিন্নি কিছু আমাকে বলতে চায়। কিন্তু গোয়েন্দা দাঁড়াইয়া থাকে, তাদের জন্য কিছু বলতে পারে না।