হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কয়েকদিনে বন্যায় তিস্তার তীব্র ভাঙনে নদীর বাম তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অর্ধেকাংশসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে শেখ হাসিনা সেতু সংযোগ সড়কসহ লক্ষীটারী ও কোলকোন্দ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৪-৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিস্তার বাম তীর ভাঙনকবলিত এলাকা গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা, লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর ইচলী, চর শংকরদহ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় তিস্তার তীব্র ভাঙনে চর বিনবিনা গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ একটি বাঁধের অর্ধেকাংশসহ আশপাশের ৩-৪টি গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হওয়ার দৃশ্য।
বিনবিনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান, মনোয়ার হোসেন, গাজিউর রহমান সবুজ জানান, গত সপ্তাহের বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। গত ৫ দিনের ভাঙনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অর্ধেকাংশসহ চর বিনবিনা, চর ইচলী, চর শংকরদহ গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এদিকে শনিবার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবীর, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগম, লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী।
এ সময় ভাঙন কবলিত লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী সাংবাদিকদের বলেন, নদী শাসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত কাজ করার কারণে প্রতিবছরই নদী ভাঙে। তিনি পরিকল্পনামাফিক নদীর ডান তীরের মতো বাম তীরেও নদী রক্ষা বাঁধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তিস্তার ডান তীরের মত বাম তীরেও নদী শাসনে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।