হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আলোচিত সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার গত বুধবার উচ্চ আদালত থেকে তিন সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন। তিনি স্থানীয় বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। জামিন পেয়ে পরের দিনই তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান। এলাকায় চেয়ারম্যানের উপস্থিতি দেখে শত শত মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভির করে। এ সময় তারা চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা ও দুধ-পানি ছিটিয়ে বরন করে নেয়।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নিহত ব্যাবসায়ী সোহেল হাওলাদারের পরিবার। চেয়ারম্যানের উপস্থিতি দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমরা জানতাম এমনটাই হবে। বিগত দিনেও ঠিক এমনটাই হয়েছে। যে কোন মামলাই চেয়ারম্যানের কাছে এখন দুধ ভাতের মত পরিনত হয়েছে। আইন যে সবার জন্য না তার প্রমান আবারও আদালত করে দেখাল। একজন মানুষ প্রকাশে খুন করলো আর আদালত তার সাজা না দিয়ে জামিন দিলো।
তাহলে আমরা কি ভাববো এই দেশে কোন সঠিক বিচার নাই। টাকা জার আদালত তার। এ বিষয়ে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাজাহান মিয়া বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অস্ত্র মামলা রয়েছে। তবে দ্বিতীয় মামলাটি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গত বুধবার (১৭ই জুলাই) দুপুরে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার কে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আগাম জামিন দেন। তার জামিনের কথা শুনে চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন মামলার বিবাদী পক্ষের লোকজন। এই সময় পুরো আদালত প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে উত্তেজনা মুহূর্ত। তখন চেয়ারম্যান পক্ষের মামলার আইনজীবীও ওই হামলার শিকার হন। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার ১০ জনকে আসামী করে একটি গুম ও খুনের মামলা দায়ের করেন।