হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও বুধবার মিন্নির রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছে মিন্নি। ইতোমধ্যেই মিন্নি রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এ হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে মিন্নি যুক্ত ছিলেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘যারা হত্যাকারী ছিল তাদের সঙ্গে মিন্নি শুরু থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অংশ নেন। এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার আগে এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার, তার সবকিছুই তিনি করেছেন। হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন।’
আদালতে দেওয়া জবানবন্দীর বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না জানিয়ে মারুফ হোসেন বলেন, ‘একটা বিষয় বলতে চাই, শুধু টিকটক হৃদয় না, একাধিক ব্যক্তি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে যে মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমাদের কাছেও প্রাথমিকভাবে মিন্নির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে। মিন্নি নিজে স্বীকার করেছে বলেই আমরা এই বিষয়গুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে যৌক্তিকতা তুলে ধরে রিমান্ডের আবেদন করেছি এবং বিজ্ঞ আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
এসপি বলেন, ‘এই মামলার বাদী যাদের হত্যাকারী দাবি করেছেন, আমরা কিন্তু রাতদিন জেগে থেকে তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’