ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় চাচির পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলার জেরে পাঁচ বছরের শিশু ফারজানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিহত শিশুটির পিতা ফজলুল হক ফজু। গত বছরের ৯ নভেম্বর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির বাবা ফজলুল হক ওরফে ফজু মিয়া ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।

কিন্তু ঘটনার নয় মাস পার হলেও পুলিশ এখন চার্জশিট না দেয়ায় এবং মূল অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত শিশুটির বাবা। এ হত্যাকান্ডেবেশ কয়েকজন জড়িত থাকলেও গ্রেপ্তার হয় মাত্র দুজন। প্রধান আসামি শফিকুল হাজতসাব করেছেন মাত্র তিন মাস ও অন্যতম আসামি মিনারা খাতুন ২২ দিন হাজতবাসের পর জামিনে বের হয়ে আসেন।

আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বাদীকে নানারকম হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান শিশুটির পিতা ফজলুল হক।

নিহত শিশু ফারজানা আক্তারের পিতা ফজলুল হক ফজু মিয়া বলেন, ‘ফারজানা তার চারির পরকীয়া সম্পর্ক দেখা ফেলায় খুন হয়েছে। ফারজানার চাচির সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিল মল্লিকবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে স্থানীয় একজন ব্যক্তির ছত্রছায়ার বর্তমানে পাপুয়া নিওগিনি প্রদেশে বসবাস করছে। ঘটনার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আমার মেয়ে হত্যা মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমি গরিব মানুষ বলে কি মেয়ে হত্যার বিচার পাব না! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফারজানা আক্তার ঘটনার দিন মক্তব থেকে ফেরার পথে পাশের এক বিয়েবাড়িতে যায়। দুপুরেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রতিবেশীদের বাড়ি এবং আশপাশের মাছের খামারগুলোতে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মাইকিং করা হয়। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে ফারজানার অর্ধঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, এ মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের রিমান্ডেও আনা হয়েছিল। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, শিশুটির ডিএনএ রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলে চার্জশিট দিতে পারছি না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলাটির চার্জশিট দেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন পিতা

আপডেট টাইম : ১২:৩২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় চাচির পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলার জেরে পাঁচ বছরের শিশু ফারজানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিহত শিশুটির পিতা ফজলুল হক ফজু। গত বছরের ৯ নভেম্বর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের একটি জঙ্গল থেকে অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির বাবা ফজলুল হক ওরফে ফজু মিয়া ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।

কিন্তু ঘটনার নয় মাস পার হলেও পুলিশ এখন চার্জশিট না দেয়ায় এবং মূল অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত শিশুটির বাবা। এ হত্যাকান্ডেবেশ কয়েকজন জড়িত থাকলেও গ্রেপ্তার হয় মাত্র দুজন। প্রধান আসামি শফিকুল হাজতসাব করেছেন মাত্র তিন মাস ও অন্যতম আসামি মিনারা খাতুন ২২ দিন হাজতবাসের পর জামিনে বের হয়ে আসেন।

আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বাদীকে নানারকম হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান শিশুটির পিতা ফজলুল হক।

নিহত শিশু ফারজানা আক্তারের পিতা ফজলুল হক ফজু মিয়া বলেন, ‘ফারজানা তার চারির পরকীয়া সম্পর্ক দেখা ফেলায় খুন হয়েছে। ফারজানার চাচির সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিল মল্লিকবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে স্থানীয় একজন ব্যক্তির ছত্রছায়ার বর্তমানে পাপুয়া নিওগিনি প্রদেশে বসবাস করছে। ঘটনার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আমার মেয়ে হত্যা মামলার কোন অগ্রগতি নেই। আমি গরিব মানুষ বলে কি মেয়ে হত্যার বিচার পাব না! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফারজানা আক্তার ঘটনার দিন মক্তব থেকে ফেরার পথে পাশের এক বিয়েবাড়িতে যায়। দুপুরেও বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রতিবেশীদের বাড়ি এবং আশপাশের মাছের খামারগুলোতে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মাইকিং করা হয়। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড়ে ফারজানার অর্ধঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, এ মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের রিমান্ডেও আনা হয়েছিল। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, শিশুটির ডিএনএ রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে বলে চার্জশিট দিতে পারছি না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলাটির চার্জশিট দেয়া হবে।