ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিফাতকে হত্যা নয়, ‘টাইট’ দিতে চেয়েছিলো মিন্নি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • ২৭৪ বার

রিফাত হত্যা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর পেয়েছে গোয়েন্দারা।

ঘনিষ্ঠজন ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, স্বামী রিফাত শরীফকে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিল স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। কারণ সে নয়ন বন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এ জন্য রিফাতকে একটু ‘টাইট’ (শাস্তি) দিতে নয়ন বন্ডকে দায়িত্ব দিয়েছিলো মিন্নি। সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছিলো ছক।

সূত্র বলছে, ঘটনার দিন ছক অনুযায়ী কলেজ গেইটে কালক্ষেপণ করে মিন্নি। তবে রিফাতকে ‘টাইট’ দেওয়া যে হত্যায় রুপ নিবে তা মিন্নির ধারণায়ও ছিল না। সেজন্যেই ঘটনার দিন যখন রিফাতকে নয়ন বন্ডের গ্যাংরা টেনে হেচড়ে নিয়ে যায়, তখন মিন্নিকে নির্লিপ্তভাবে হাটতে দেখা যায়। ভেবেছিলেন নয়ন বন্ডরা তাকে সামান্য শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দেবে। কিন্তু মারধরের এক পর্যায়ে হঠাৎ যখন নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী যখন চাপাতি দিয়ে অতর্কিতভাবে রিফাতকে কোপাতে থাকে, তখনই মিন্নি ঝাপটে ধরে রিফাতকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয় মিন্নি।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, ঘটনার আগের দিন রাতে নয়নের সাথে মিন্নির প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয়। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনা সদরের নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

পরে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় মিন্নিকে গ্রেফতারের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার পর মিন্নিকে তার বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে আসে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। দুর্বৃত্তরা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রিফাতকে হত্যা নয়, ‘টাইট’ দিতে চেয়েছিলো মিন্নি

আপডেট টাইম : ০৮:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর পেয়েছে গোয়েন্দারা।

ঘনিষ্ঠজন ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, স্বামী রিফাত শরীফকে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিল স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। কারণ সে নয়ন বন্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এ জন্য রিফাতকে একটু ‘টাইট’ (শাস্তি) দিতে নয়ন বন্ডকে দায়িত্ব দিয়েছিলো মিন্নি। সে অনুযায়ী সাজানো হয়েছিলো ছক।

সূত্র বলছে, ঘটনার দিন ছক অনুযায়ী কলেজ গেইটে কালক্ষেপণ করে মিন্নি। তবে রিফাতকে ‘টাইট’ দেওয়া যে হত্যায় রুপ নিবে তা মিন্নির ধারণায়ও ছিল না। সেজন্যেই ঘটনার দিন যখন রিফাতকে নয়ন বন্ডের গ্যাংরা টেনে হেচড়ে নিয়ে যায়, তখন মিন্নিকে নির্লিপ্তভাবে হাটতে দেখা যায়। ভেবেছিলেন নয়ন বন্ডরা তাকে সামান্য শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দেবে। কিন্তু মারধরের এক পর্যায়ে হঠাৎ যখন নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী যখন চাপাতি দিয়ে অতর্কিতভাবে রিফাতকে কোপাতে থাকে, তখনই মিন্নি ঝাপটে ধরে রিফাতকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয় মিন্নি।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, ঘটনার আগের দিন রাতে নয়নের সাথে মিন্নির প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয়। সেই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মিন্নিকে বরগুনা সদরের নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

পরে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় মিন্নিকে গ্রেফতারের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার পর মিন্নিকে তার বাসা থেকে পুলিশ নিয়ে আসে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত হত্যায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। দুর্বৃত্তরা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।