হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক পরিচালক। সঙ্গে দাবি করেছেন একটি গ্যাসচালিত গাড়ি। ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
ডিআইজি মিজানের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী বাকি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা নগদে নিয়েছেন গত ১ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রীকে দায়মুক্তি দিয়ে ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করার জন্য একটি গাড়ি চেয়েছেন দুদকের এই পরিচালক। নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে বিতর্কিত ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত আছেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে কমিশন।
খন্দকার এনামুল বাছির তদন্ত থেকে দায়মুক্তি দিতে ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুদক। কমিশনের সচিব দিলওয়ার বখ্তকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে গতকাল রবিবার। কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ আজ সোমবার প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য দেশ রূপান্তরকে জানান, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখ্তকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মফিজুর রহমান ভূঁইয়া ও প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান।
৫০ লাখ টাকা ঘুষের চুক্তি ও গাড়ি চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার এনামুল বাছির দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এগুলো সঠিক নয়। এটি একটি বানোয়াট মেটার। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছি। মামলার সুপারিশ করায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে এসব অপপ্রচার করছে। যার সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।’ ডিআইজি মিজানকে খারাপ লোক উল্লেখ করে এনামুল বাছির বলেন, এগুলোর একাংশও সত্য নয়। এসব উল্টাপাল্টা জিনিস করার বিষয়ে সে বিশেষ ওস্তাদ। সব তার সাজানো। আমি সাহস করে তার বিরুদ্ধে মামলার রিপোর্ট করেছি। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছি, তাই সে এসব বানোয়াট মেটার রেডি করেছে আরকি।’
খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ এমএম ডিগ্রি লাভ করেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ যাচাইবাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিশনের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এনামুল বাছির অনুসন্ধানকালে ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে গত ১৫ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রমনা পার্কে এই ঘুষ নেন বলে তথ্য পেয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের মধ্যে কথোপকথনের তিনটি অডিও রেকর্ড পেয়েছে কমিশন।
প্রথম রেকর্ড :
ডিআইজি মিজান : …আপনার জন্য কিছু বই এনেছি, এগুলোয় আইনের বইটই আছে।
এনামুল বাছির : …নিয়া আছেন টাকা.. কোন ফর্মে আনছেন?…বাজারের ব্যাগে… না…
ডিআইজি মিজান : … বাজারের ব্যাগে।
এনামুল বাছির : … এগুলা কি…
ডিআইজি মিজান : … বই আছে এতে।
এনামুল বাছির : … কী বই?
ডিআইজি মিজান : …আইনের বইটই আছে…আমি আজকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আইনের বই কিনলাম…।
এনামু বাছির : … ও
ডিআইজি মিজান : … বড় ভলিউম না, এই টুয়েন্টি ফাইভতো…তেমন বড় ভলিউম না, সব এক হাজার টাকার নোট।
এনামুল বাছির : … আচ্ছা।
অপর একটি অডিও রেকর্ডে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। চাইলেই কমিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন।
দ্বিতীয় রেকর্ড :
ডিআইডি মিজান : … কমিশন আমাকে হ্যারেস করছে।
এনামুল বাছির : … জি ইনকোয়ারি রিপোর্ট আমি দেখেছি… এটা একটা ভুয়া রিপোর্ট। আইওর রিপোর্ট আমি চাইলে কমিশনে দিতে পারি। আমি দিলে অফিসে কোনো কোশ্চেন হয় না। উনারাও (কমিশন) বুঝতেছে আপনাকে ধরা যাবে না।
ডিআইজি মিজান : … জি ধরা যাবে না।
এনামুল বাছির : … আমি আপনার সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ চাই। এটা হইলো কথা। বাকিগুলো হইলো…
ডিআআইজি মিজান : … না না শুনেন আর ২৫ লাখ টাকা আমাকে নেক্সট ৮-১০ দিন সময় দিলে আমি ম্যানেজ করে ফেলব।
এনামুল বাছির : … এত সময় দেওয়া যাবে না, আগামী সপ্তায়…
ডিআইজি মিজান : আচ্ছা
এনামুল বাছির : …আর হইলো কি, আমার ছেলেটা উইলসে পড়ে…
ডিআইজি মিজান : …উইলসে পড়ে?
এনামুল বাছির : ওরে আনা-নেওয়ার জন্য একটা গাড়ি…
ডিআইজি মিজান : …গ্যাসের গাড়ি?
এনামুল বাছির : …সকাল ৯টায় স্কুলে দিবে আর দুপুর ১২টায় বাসায় পৌঁছে দিবে, এটাই আমার চাহিদা আর কোনো চাহিদা নাই।
অপর একটি অডিও রেকর্ডে এনামুল বাছির ও ডিআইজি মিজানের মধ্যে বেনামে হিসাব খোলা ও বাহক চেক মারফত টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়।
এনামুল বাছির : … এমন একটা অ্যাকাউন্টে রাখা দরকার যেখানে আমি বাট আই কেন অপারেট হেয়ার। এটা মোটামুটি একটা পারমান্যান্ট অ্যাকাউন্ট যেটা আমি। কারণ আপনার মতো আরও কেউ তো আসতে পারে।
ডিআইজি মিজান : … জি
এনামুল বাছির : …আমি বলতে চাইছি সেটা না, আপনার মতো যদি এ রকম চিপার মধ্যে পড়ি, তখনতো আরেকজনের কাছ থেকেও আমার নিতে হবে।
ডিআইজি মিজান : … হা-হা-হা
এনামুল বাছির : … চেকটা আমি সই করলাম
ডিআইজি মিজান : …হ্যাঁ, হ্যাঁ
এনামুল বাছির : … ইন আদার নেইম, দিয়ে আমি চেকটা সই করলাম, মনে করেন এটা ফেইক অ্যাকাউন্ট, ফেইক পারসনের হতে হবে।
ডিআইজি মিজান : … আপনার নাম লিখে দিলে হবে
এনামুল বাছির : … আমার নামতো লেখাই যাবে না
ডিআইজি মিজান : … কার নাম থাকবে তাহলে?
এনামুল বাছির : … ব্ল্যাঙ্ক থাকবে
ডিআইজি মিজান : … ওকে ওকে ব্ল্যাঙ্ক
এনামুল বাছির : … যার নামই থাকবে বেয়ারার গিয়ে নিয়ে আসবে অ্যাকাউন্ট থেকে।
তৃতীয় অডিও রেকর্ড :
গত ৩০ মে পুলিশ প্লাজায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মিজানের সঙ্গে দেখা করেন খন্দকার এনামুল বাছির। তার একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পেয়েছে দুদক। তাতে দেখা যায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগাম তথ্য ডিআইজি মিজানকে জানায় দুদক।
সেখানকার আরেকটি অডিও ক্লিপ পেয়েছে দুদক।
এনামুল বাছির : … অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে… এর ভেতরেও কিছু পয়েন্ট রেখেছি। চেয়ারম্যান এবং কমিশনারের চাপে বাধ্য হয়েছি। এ রকম একটা রিপোর্ট।
ডিআইজি মিজান : … মামলা কেন হবে? আপনি তো বললেন….
এনামুল বাছির : …আপনি একটা জিনিস বোঝেন! আমি কিন্তু এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে রিপোর্ট দিছি। কোনো মিডিয়ায় কি কোনো কথা আসছে? আপনি যদি চান ওসব (ঘুষের টাকা) ফেরত নিতে পারেন।
ডিআইজি মিজান : … দরকার নাই
এনামুল বাছির : … আমি যখন চেয়ারম্যানকে বললাম, চেয়ারম্যান মানে পারে…তো আমাকে মেরেই ফেলবে।
মিজানের বক্তব্য : দুদক পরিচালককে কেন ঘুষ দিলেন জানতে চাইলে ডিআইজি মিজান বলেন, আমি বাধ্য হয়েছি। আমি ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছি। আমি কোনো অন্যায় করেনি। একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তা হলে এ দেশে কখনো দুর্নীতি দমন হবে না।
কী আছে ডিআইজি মিজানের তদন্তে : ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের নামে স্থাবর-অস্থাবর ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর ও ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ১১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে পাঁচ কাঠা জমি, পূর্বাচলে পাঁচ কাঠা জমি, পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতিতে ৭ কাঠা ৫০ শতাংশ জমি এবং অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিজ এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুটের বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি আছে তার। যা নির্মাণে ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৪১ টাকা খরচ করা হয়েছে।
ডিআইজি মিজানের সম্পদের মধ্যে ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকার এবং তার স্ত্রীর নামে ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ মিলেছে।
মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতা আয়কর নথিতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। অথচ আয়ের উৎস পাওয়া যায় মাত্র ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮৩ টাকা। অর্থাৎ দুদকের অনুসন্ধানে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার সম্পদ রয়েছে।
এ ছাড়া মিজানুর রহমানের ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর বেইলি রোডে বেইলি রোজ বাড়িতে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহামুদুল হাসানের নামে চাকরিতে প্রবেশের আগেই ঢাকার পাইওনিয়ার রোডে ২০০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। ডিআইজি মিজান তাদের নামে এসব সম্পদ করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ৩ মে দুদকের পক্ষ থেকে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জিআইজি মিজানের বক্তব্য ও তার দাখিল করা সহায়-সম্পদের যাবতীয় নথি পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
তিনি তার প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস জারির সুপারিশ করেন। যার অংশ হিসেবে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে দুদক।
খন্দকার এনামুল বাছির ২৩ মে কমিশনে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদ ডিআইজি মিজানের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে তার নিজের নামে ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে মিজানের সম্পদ রয়েছে ৯৫ লাখ ৯১ হাজার টাকার।
আর ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে রয়েছে তার এক কোটি টাকার সম্পদ। সব মিলিয়ে দলিল মূল্যে ডিআইজি মিজানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে তার আয় পাওয়া গেছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং ব্যয় পাওয়া গেছে ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার। আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার টাকার।
তার এই আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ধারায় মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান কর্মকর্তা খন্দকার এনামুল বাছির।
গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ ওঠার পর তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।